রংপুর; দিনাজপুরে অটোরাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। রোববার মারা গেছেন আরো ৫ জন। যারা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, দিনাজপুরের বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বুধবার রঞ্জিতা রানি রায় (৪০) ও মোকছেন আলী (৫০) নামে ২ রোগী মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আরিফুল ইসলাম (৩০), শুক্রবার সকালে রোস্তম আলী (৪৫) এবং রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শফিকুল ইসলাম (১৯), উদয় চন্দ্র (৫০), দুলাল চন্দ্র (৩৫), ঢাকায় চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও রাইস মিলের ব্যবস্থাপক রনজিত বসাক (৫০) মারা যান। রনজিত বসাককে শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে এবং দেলোয়ার হোসেনকে সড়কপথে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই দুজন মারা যান। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। কি হবে বলা যাচ্ছে না। তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আহতদের সুস্থ করতে।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের শেখহাটি গোপালগঞ্জে যমুনা অটো রাইস মিলে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণে কর্মরত ৩০ জন শ্রমিক আহত হন। বিস্ফোরণের পরপর দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ৩০ জনকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৭ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বয়লার বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ছিল ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ গজ দূরে মিলের ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল ছিটকে পড়ে।