ফ্রান্সের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র দে শঁজেলিজে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে হত্যার পর পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশটির পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও সঙ্গিনীরা প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
‘পুলিশের ক্ষুব্ধ স্ত্রীরা’ গোষ্ঠীর ডাকা শনিবারের এই বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তারা মিছিল নিয়ে শহরটির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদের কারো কারো হাতে বহনকরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমার পুলিশকে স্পর্শ করবে না’, আরেকটিতে লেখা ছিল ‘অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’।
গত অক্টোবরে প্যারিসের দরিদ্র বাসিন্দাদের এলাকায় সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতারা চার পুলিশকে বহনকারী একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছিল, ওই প্ল্যাকার্ডটিতে সেই ঘটনার ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এই বিক্ষোভ মিছিলের দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসের বিখ্যাত আভন্যু দে শঁজেলিজে পুলিশ কর্মকর্তা জেভিয়ার জুগলকে মাথায় দুটি গুলি করে হত্যা করে অভিযুক্ত করিম শ্যোরফি।
শ্যোরফিকে গুলি করে মারার আগে তার গুলিতে আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়।
হামলার আগে শ্যোরফির সঙ্গে ইসলামি উগ্রপন্থার কোনো সম্পর্ক আছে বলে জানা যায়নি, কিন্তু হামলার পর তার লাশের পাশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে লেখা একটি নোট পাওয়া যায়। এর আগেও পুলিশের ওপর হামলা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল শ্যোরফি।
শনিবার অন্য একটি ঘটনায় পূর্ব প্যারিসে শ্রমিক সংগঠনগুলোর একটি মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
রোববার ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া এর আগে প্যারিসে সংঘটিত বড় ধরনের জঙ্গি হামলার জেরে দেশটিতে এখনও জরুরি অবস্থা বলবৎ আছে।