ভাস্কর্য সরাতে আলটিমেটাম

Slider জাতীয় লাইফস্টাইল সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

 

 

62493_b1

 

 

 

 

আসন্ন রোজার আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ করার আলটিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এই সময়ে ভাস্কর্য না সরালে ঈদের পর সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে দলটি। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে নেতারা এ হুমকি দেন। সমাবেশে দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, মূর্তির জায়গা মন্দিরে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি সরাতে হবে। মূর্তি  না সরালে ১৭ই রমজান সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে এবং ঈদের পর সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করা হবে। রেজাউল করীম আরো বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা শঙ্কিত। জাতীয় ঈদগাহের পাশে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনায় সবচেয়ে বড় আঘাত হানা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মূর্তি কিভাবে এলো, কোথায় থেকে এলো, কে বসালো, তিনি তা জানেন না। শুনেছি প্রধান বিচারপতির একক সিদ্ধান্তে মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। কাদের স্বার্থে গ্রিক মূর্তি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হলো? এটা জনতার প্রশ্ন। প্রধান বিচারপতির গ্রিক দেবীর প্রতি কোনো ভক্তি বা অনুরাগ থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। তার এ পছন্দকে তিনি জাতীয়ভাবে চাপিয়ে দিতে পারেন না।
মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিষ্টান অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সামনেও সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম স্থাপিত আছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবী লেডি জাস্টিস-এর মূর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। মাটি বা ধাতবের তৈরি মূর্তি ন্যায়বিচারের প্রতীক হতে পারে না। কারণ মূর্তির বাকশক্তি ও বোধশক্তি নেই, রায় দিতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা ও তার নাজিল করা কুরআন হচ্ছে ন্যায়বিচারের প্রতীক। আল্লাহ ন্যায়বিচারের সব পদ্ধতি পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন। আর আল্লাহর রাসুল (সা.) তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন। এ জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়বিচারক রূপে প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রেজাউল করীম বলেন, আপনি যাদের খুশি করার জন্য সংবিধানের মূলনীতি থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা বসালেন, তারা আগামী নির্বাচনে আপনাকে ভোট দেবে না। পূর্ব ঘোষিত এই মহাসমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি না দেয়ায় সমালোচানা করেন তিনি। মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাওলানা আবদুল হক আজাদ, মাওলানা আবদুল আউয়াল পীর সাহেব খুলনা, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *