ঢাকা; আপাতত রক্ষা পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। পানামাগেট কেলেঙ্কারি মামলার রায়ে বিভক্ত রায় দিয়েছেন বিচারকরা। তারা নির্দেশ দিয়েছেন পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরীফ পরিবারের জড়িত থাকার তদন্তের জন্য একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের। আজ কিছুক্ষণ আগে এ রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসা রায় ঘোষণা শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের কোর্টরুম-১ থেকে। এ মামলায় যে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন ৫ জন বিচারক। তারা হলেন বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসা, বিচারপতি গুলজার আহমেদ, বিচারপতি ইজাজ আফজাল খান, বিচারপতি আজমত সাঈদ ও বিচারপতি ইজাজুল আহসান। সাবেক ক্রিকেটার, পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামী ( জেআই), ওয়াটান পার্টি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছিল তা খতিয়ে দেখে আদালত। এরপর বিচারকরা বিভক্ত রায় দেন। তিনজন বিচারক আরো তদন্তের জন্য জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের পক্ষে রায় দেন। এর বিপক্ষে অবস্থান নেন দু’জন বিচারক। সুপ্রিম কোর্টের এ রায়টি ৫৪০ পৃষ্ঠার। এটি লিখেছেন বিচারপতি ইজাজুল আহসান। আফকর ফাঁকি দিতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যরা অফসোর কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করেছেন বলে খবর ফাঁস করে পানামা পেপারস। এর ফলে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় নওয়াজ শরীফ, তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ, ছেলে হাসান নওয়াজ, হোসেন নওয়াজ, প্রধানমন্ত্রীর জামাই (অবসরপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদার ও অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের বিরুদ্ধে। আদালত আরো তদন্তের নির্দেশ দেয়ায় নওয়াজ শরীফ তথা পিএমএলএন শিবির উল্লাসে ফেটে পড়ছে। কারণ, এ মামলায় নওয়াজ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত হতে পারতেন। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেই তেমন অবস্থা তৈরি হতো। ফলে পাকিস্তানজুড়ে আজ এক থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদি নওয়াজ শরীফকে দোষী সাব্যস্ত করা হতো, তার ক্ষমতার ইতি ঘটতো তাহলে বড় এক সাংবিধানিক সঙ্কটে পড়তো দেশটি