শারমিন সরকার
ব্যুারো চীফ
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
শ্রীপুর অফিস : শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের
ঘটনা ঘটেছে। ইট পাটকেলের আঘাতে সাতজন পুলিশ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এঘটনায় পুলিশ ৯জনকে আটক করেছে।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরনল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকালে শ্রীপুর উপজেলায় দায়েরকৃত মামলা থেকে ওই তথ্য জানা যায়।
ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শ্রীপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক
(এ.এস.আই) সুমন (২৬), কনস্টেবল নুরুল আমীন (৫৬), আব্দুস ছাত্তার (৫৭),
আব্দুল মান্নান (৫০), আব্দুল কাদের (৫২), আব্দুল বাতেন (৫৫) ও মো: সাফিন
(২৬)। মাথায় ইটের আঘাতে গুরুতর আহত সাফিনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত
দুই পক্ষের আটজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরনল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল
মালেক ও মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে জসীম উদ্দিন গংয়ের সাথে জমি দীর্ঘদিন যাবত
জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে জসীম
উদ্দিনের লোকজন স্থাপনা নির্মাণ করতে যায়। দুপুরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে
ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও জমিতে থাকা মেহগণি গাছ কেটে ফেলা হয়।
আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন, জসীম উদ্দিনের ভাড়া করা লোকজন জমি জবর দখল
করতে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর তার একটি ঘরে অগ্নিসংযোগ
করা হয়।
জসীম উদ্দিন জানান, গত পাঁচ বছর আগে তিনি জমিটুকু মালেকের চাচা মোসলেম
উদ্দিনের কাছ থেকে ক্রয় করেন। এরপর থেকে মালেক ও তার সহযোগীরা জমিতে বার
বার বাধা প্রদান করে জমি বেদখলের হুমকি দিয়ে আসছে। মালেকের বাড়ির লোকজন
রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল ইসলাম জানান, শান্তি শৃঙ্খলা
রক্ষার্থে শ্রীপুর থানা থেকে পাঠানো পুলিশকে লক্ষ্য করে একদল লোক
ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে শ্রীপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে ১৫
রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান, ৯জনকে আটক করা হয়েছে।