ম্যানচেস্টারে পুনরায় খেলতে নেমে মেসিকে টপকে যেতে যান রোনালদো

খেলা

image_152103.1পর্তুগাল এবং আর্জেন্টিনার মধ্যকার মঙ্গলবারের হাই ভোল্টেজ প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে এখন সবার দৃষ্টি দুই দলের দুই তারকা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিয়নেল মেসির উপর। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরে এসে নিজের পুরোনো মাঠে অবশ্য রোনালদো চেষ্টা করবেন মেসিকে ছাড়িয়ে যেতে, এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রোনালদো এবং বার্সেলোনা স্ট্রাইকার লিয়নেল মেসি বর্তমানে নিজেদের বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় প্রমানের লড়াইয়ে মেতে উঠেছে। পর্তুগীজ আইকনের সাবেক ঘরের মাঠে এই লড়াই দেখার অপেক্ষায় এখন পুরো বিশ্ব। বিশেষ করে স্প্যানিশ লীগে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে খেলার কারনেই এই দুই সেরা তারকার লড়াইটা আরো বেশি জমাট হয়ে উঠেছে।
নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই হোক না কেন এই দুজন গত এক দশক ধরে একাধারে সবগুলো সেরার পুরস্কার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। নিয়মিত ভাবে দলীয় এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রাপ্তিতে তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। চ্যাম্পিয়নস লীগে মেসির দল তিনবার জিতলেও রোনালদো জিতেছেন দুই বার। আবার মেসির ঝুলিতে আছে ছয়টি লীগ শিরোপা, রোনালদোর রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তিনটি এবং রিয়ালের পক্ষে একটি। নিজেদের মধ্যে তারা শেষ ছয়টি ব্যালন ডি অর পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিশ্বের সেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার ম্যানেজার, খেলোয়াড় এবং সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়। এই সময়ের মধ্যে আর্জেন্টাইন তারকা মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন চারবার এবং রোনালদো জিতেছেন বাকি দুইবার।
চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো রোনালদো এই পুরস্কারের আশা করতেই পারেন। কিন্তু অনেকেই আবার ভিন্নমত পোষন করে মেসি এবং বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ইতোমধ্যেই লীগে ১৮ গোল করে ফেলেছেন রোনালদো। অন্যদিকে মেসি তার মান অনুযায়ী নিজের যোগ্যতার প্রমাণ এখনো দিতে পারেননি। এখন পর্যন্ত তাঁর গোলসংখ্যা সাত। যদিও এবারের বিশ্বকাপে তিনিই পেয়েছেন টুর্ণামেন্ট সেরার পুরস্কার। তবে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের বাছাইপর্ব এবং টুর্নামেন্ট ইতিহাসে সর্বাধিক গোলের রেকর্ড এখন রোনালদোর। সব মিলিয়ে ২৩ গোল করে তিনি ডেনমার্কের ডাল টমাসনের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন। পর্তুগালের হয়ে ১১৭ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৫৭টি।
২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে মাদ্রিদে যাবার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রোনালদো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলতে আসছেন। এর আগে ২০১৩ সালের মার্চে তার গোলেই রিয়ালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে বিদায় নিয়েছিল ম্যানচেস্টার। কিন্তু কালকের প্রীতি ম্যাচকে ঘিড়ে এখন পর্যন্ত টিকেট বিক্রি ততটা সন্তোষজনক না হওয়ায় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে নতুন করে পুরনো মাঠে ফেরার সুযোগ পেয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন রোনালদো। তার মতে এখানে ফিরে আসাটা সবসময়ই বিশেষ কিছু। আশা করছি পুরো স্টেডিয়াম আমার সঙ্গেই থাকবে। এই ম্যাচের মাধ্যমে আরো ফিরে আসছেন সাবেক সিটি ও ইউনাইটেড স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ। জুভেন্টাসের এই তারকা আর্জেন্টাইন তিন বছর পর গত সপ্তাহে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *