মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে বিষয়গুলো ছিল ট্রাম্পকার্ড বা দর-কষাকষির উপলক্ষ, সে বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। ট্রানজিট দিয়েছেন, বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রচণ্ড রকমের ঘাটতি আছে। তিনি আরও বলেন, ‘অথচ আমরা এখনো কিছুই পাইনি। শুধু আশ্বাস পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে এসে বলেছেন, পানি মাঙ্গা, ইলেকট্রিসিটি মিলা। কুছ তো মিলা। আমাদের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে কুছ মিলার জায়গায়। সামান্য কিছু পেয়েছি, এতেই আমরা খুশি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে নতজানু মনোভাব, এটার কারণে কখনো বড় কিছু আশা করা যায় না। এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, জোর করে ক্ষমতা দখল আছে। তাই যারা তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে, তাদের কাছে সরকার জনগণের দাবিদাওয়া পেশ করতে পারছে না, আদায়ও করতে পারছে না।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘শুভবুদ্ধির আগমন হোক আপনাদের মাঝে। আর সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, একই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে।’ এ দেশের জনগণের দাবি আদায়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে সব দল, ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশ আওয়ামী লীগের একার নয়, দেশ ১৬ কোটি মানুষের। দেশের সার্বভৌমত্ব, দেশের মানচিত্র শকুনের থাবায় নির্যাতিত। এই সরকার ভোটারবিহীন সরকার, এ জন্য যা খুশি তা-ই করছে। দুই দেশের বন্ধুত্বের অর্থ এই নয় যে দেশের স্বকীয়তা বিকিয়ে দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে অসম চুক্তি করেছেন। দেশবিরোধী চুক্তি যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।