তথ্যপ্রযুক্তি ও রাজধানীর পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে অতিরিক্ত আরও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকা অফিসের অপারেশন ম্যানেজার রাজশ্রী এস পারলকার দু’টি ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় মাহমুদা বেগম বলেন, দুই প্রকল্পের সুফল এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ইতিবাচক বিবেচনায় প্রকল্প দু’টির কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পে এর আগে সহায়তা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এখন সেই প্রকল্পে সহায়তা আরও বাড়াচ্ছে।
অনুষ্ঠানে রাজশ্রী পারলকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্প, স্মাটকার্ড বিতরণ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অটোমেশন এবং ইজিপি বাস্তবায়ন প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সেই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। এছাড়া রাজধানীর জানজট নিরসনে নেয়া ‘কেস’ প্রকল্পেও সহায়তা বাড়াচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এলআইসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসাবে ৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কাঠামোগত উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ডাটাবেস সেন্টার এবং জাতীয় ই-আর্কিটেকচার সার্ভিস প্রদান, জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট অবকাঠামো সুবিধা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করা আইসি সার্ভিসেস বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে এনভায়রনমেন্ট (সিএএসই) শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসাবে ৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটি পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। পরবর্তীতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্প এবং ঋণচুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, গণপরিবহন ব্যবস্থা এবং গতানুগতিক পদ্ধতিতে উৎপাদন ব্যবস্থা ঢাকা মহানগরী বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস। প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, বায়ুমান ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, ইটভাটা নিঃসরণ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সচেতনতা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ঢাকা মহানগরীতে পরিবহন গতিশীলতার উন্নয়নের বাস রুট নেটওয়ার্ক যুক্তকরণ, ঢাকা শহরে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও খসড়া প্রণয়ন করা।
তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিবেশের উন্নয়নের এ দুই প্রকল্পের ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সাভির্স চার্জ দিতে হবে।