সিরিয়ায় অস্ত্র হাতে নবীন সিলেটে তোলপাড়

Slider ফুলজান বিবির বাংলা সিলেট

61780_f2

 

সিলেট;  ফেঞ্চুগঞ্জের যুবক নবীন হোসেন। ভারী অস্ত্র হাতে সিরিয়ার মাটিতে তোলা ছবি এসেছে তার স্বজনদের হাতে। আর এ
ছবি নিয়ে চলছে তোলপাড়।
সিলেট ও লন্ডনে থাকা তার স্বজনদের মধ্যে নানা আলোচনা। নবীন কি তাহলে আইএস-এর খাতায় নাম লিখিয়েছে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বছর আগে নবীনসহ পরিবারের ১২ সদস্য সিরিয়ায় যান। সম্প্রতি সুদূর সিরিয়া থেকে ভারী অস্ত্র হাতে নবীন হোসেনের পাঠানো ছবি লন্ডন হয়ে দেশীয় স্বজনদের কাছে আসে লুটন শহরের এক বাসিন্দার মাধ্যমে। এতে নবীন হোসেনদের কার্যক্রম নিয়ে নানা সন্দেহ, শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আব্দুল মান্নানের এ পরিবারটি সিরিয়ায় যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় তারা বেঁচে আছে না মরে গেছে এমন আশঙ্কায় লন্ডন ও বাংলাদেশে থাকা তাদের নিকটাত্মীয়রা যখন উদ্বিগ্ন তখন স্বজনদের কাছে পাঠানো হয় এ ছবি। দেশে থাকা আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই আব্দুল লতিফ লুলু মিয়া জানান, তাদের কোনো খোঁজখবর জানা নেই। তারা জীবিত না মৃত তাও জানিনা। কারণ, এক বছর ধরে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই আমাদের।
নবীনের স্বজনরা জানিয়েছেন, এক মাস আগে লন্ডন হয়ে তাদের হাতে ওই ছবিটি আসে। তবে ছবির সূত্র জানাননি তারা।
যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন ফেঞ্চুগঞ্জের আব্দুল মন্নান। ৮০ বছর বয়সের এ ব্যক্তি ষাটের দশকে পাড়ি জমান বিলেতে। যুক্তরাজ্যে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলেন তিনি পরিবারপরিজন নিয়ে। ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল লন্ডন থেকে স্ত্রী-পুত্র, ভাতিজাসহ ১২ সদস্যবিশিষ্ট পরিবার নিয়ে  গ্রামের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও গ্রামে বেড়াতে আসেন। এক মাস বাংলাদেশ অবস্থান করে আব্দুল মন্নান তার ১২ সদস্যের পরিবার নিয়ে ১১ই মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। ওইদিন তারা ইস্তাম্বুল পৌঁছান। লন্ডনে থাকা স্বজনদের জানানো হয়েছিল যে তারা তিন দিন পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর পৌঁছুবেন। নির্ধারিত তারিখে তারা লন্ডন না পৌঁছায় স্বজনদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেয়। স্বজনরা বিষয়টি লন্ডন পুলিশকে অবগত করেন। পরে জানা যায়, ১২ সদস্যের ওই পরিবারটি লন্ডন না গিয়ে তুরস্ক বিমানবন্দর নেমে আইএস যোদ্ধাদের সহায়তায় সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে।
জানা গেছে, সিরিয়ায় যাওয়ার পর প্রথম ৬-৮ মাস তারা দেশে ও লন্ডনে থাকা স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *