নন্দিতা দাস একদিকে যেমন সদত হাসান মান্টোর জীবন নিয়ে ছবি তৈরি করছেন। আর একদিকে মান্টোর চারটে ছোট গল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি এক ছবি। পরিচালক রাহত কাজমির সেই ছবির নাম ‘মান্টোস্তান’। ডার্ক স্যাটায়ার ধর্মী এই ছবি দেশভাগের সময়ের মান্টোর লেখা চারটে মূল গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে। গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেনিং ছবি ছিল ‘মান্টোস্তান’। সম্প্রতি এই ছবির ট্রেলার সামনে এসেছে। যা নজরে এসেছে খোদ মান্টো কন্যার। খুব পছন্দ হয়েছে তাঁর। যদিও তিনি প্রায় প্রথম থেকেই এই ছবির সঙ্গে জুড়ে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাবার গল্প নিয়ে গড়ে ওঠা ছবি কি ভারতে এসে দেখার অনুমতি পাবেন মান্টো কন্যা?
ইতিমধ্যেই কানের পর, সানফ্রান্সিসকো, মেলবোর্ন, লন্ডন এশিয়ান এই সব নামী-দামি চলচ্চিত্র উৎসবেও ঘুরে ফেলেছে ‘মান্টোস্তান’। ২০১৬ সালে এন এফ ডি সি ফিল্ম বাজারেও এই ছবির স্ক্রিনিং হয়েছে। লন্ডন এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে আবার সেরা চিত্র পরিচালকের পুরস্কারও পেয়েছেন রাহত কাজমি। মান্টোর ছোট গল্প ‘খোল দো’, ‘ঠান্ডা ঘোস্ট’, ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ এবং ‘আখিরি স্যালুট’ এই চারটি নিয়েই ফিল্ম ‘মান্টোস্তান’। পরিচালক রাহত বলছেন, ‘‘আমরা এই গল্পে বিশ্বাস করেছি। বারবার মনে হয়েছে এই ছবি করতে গিয়ে আমরা হাজারো বিপদের সম্মুখীন হতে পারি এবং হয়েওছি। কিন্তু পিছু হটিনি। সবথেকে বড়কথা ছবি তৈরি করতে করতে আমরা পাশে পেয়ে গিয়েছিলাম মান্টোর মেয়েকে। যিনি আমাদের ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছেন।’’ ২০০৯ এ ‘দেখ ভাই দেখ:লাফটার বিহাইন্ড ডার্কনেস’ এবং ২০১৪ তে ‘আইডেন্টিটি কার্ড’ তৈরি করে সমালোচক মহলে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন পরিচালক রাহাত আজমি।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মান্টোস্তান’এর কলাকুশলীরা।
মান্টোর পরিবার পরিজন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে ছবিটিকে পাকিস্তানে দেখানোর ব্যবস্থা করা যায়। তবে পরিচালক আজমি আশা করছেন প্রশাসনের তরফ থেকে মান্টোর পরিবারকেও দেশে এসে ছবিটি দেখার অনুমতি দেওয়া উচিত। আগামী ৫ মে ছবিটি ভারতে মুক্তি পাবে ‘মান্টোস্তান’। রাহত কাজমি পরিচালনার সঙ্গে প্রযোজনাও করেছেন। প্রযোজনায় তাঁকে সাহায্য করেছেন আদিত্য প্রতাপ সিংহ, জেবা সাজিদ এবং আরও অনেকে। জিতেশ কুমার ফিল্মস এবং ইউ এফ আই প্রোডাকশন এই ছবিকে পরিবেশনা করছে।