কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দেশের ১৫৫টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সাধারণ নির্বাচন, উপনির্বাচন ও বন্ধ ঘোষিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
১৭৩ ইউপিতে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও আজ আইনি জটিলতার কারণে ১৮ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, এসব ইউপিতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ করতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২১ জেলার ২৬ উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন, ৪৯ জেলার ৯০ উপজেলায় উপ-নির্বাচন ও ১২ জেলার সংশ্লিষ্ট ইউপিতে পুনঃভোট হচ্ছে। এসব নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৭৬টি মোবাইল টিম, ৯০ প্লাটুন বিজিবি, ৯০ প্লাটুন র্যাব এবং উপকূলীয় এলাকার ইউপিতে ৮ প্লাটুন কোস্ট গার্ড নিয়োজিত রয়েছে।
নিবার্চন কমিশনের এ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইউপিতে পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের ২টি মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্লাটুন, র্যাব ১ প্লাটুন এবং উপকূলীয় এলাকার ইউপিতে কোস্ট গার্ড ১ প্লাটুন রাখা হচ্ছে। ভোটের আগের দুইদিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মোট চার দিনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এছাড়া বন্ধ ঘোষিত ভোট কেন্দ্রগুলোতেও পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নেন। এরপর কুমিল্লায় প্রথম বড় নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি। এছাড়া দুটি উপ নির্বাচন, একটি সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকারের ১৮টি নির্বাচন হয়েছে নতুন ইসির অধীনে।