সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট স্টপেজ থেকে যাত্রী তুলতে ও নামাতে হবে। ভাড়া আদায় করতে হবে সরকার নির্ধারিত হার অনুযায়ী। অর্থাৎ মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ৫ টাকা ও বাসের ভাড়া ৭ টাকা। এসব বিষয় মনিটরিংয়ে রোববার রাজধানীর পাঁচ পয়েন্ট- আসাদগেট, আগারগাঁও, এয়ারপোর্টের পশ্চিম পাশ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন এবং যাত্রাবাড়ীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান শুরু করবে। অভিযানে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও সহযোগিতা করবেন।
পাশাপাশি গাড়িতে থাকা ছাদের ওপর ক্যারিয়ার, অ্যাঙ্গেল, অতিরিক্ত সিটের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে। বৈঠক শেষে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান বলেন, রোববার থেকে আর সিটিং বাস সার্ভিস থাকবে না। নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়িতে যাত্রী উঠানো ও নামাতে হবে। গাড়িতে ভাড়ার চার্ট টানানো থাকবে। ওই চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে। তিনি বলেন, কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, গণপরিবহনকে নিয়মের মধ্যে আনতে এবং যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে সপ্তাহে তিন দিন এ অভিযান চলবে। যতদিন গণপরিবহন নিয়মের মধ্যে আসবে না, ততদিন অভিযান চালানো হবে। এ ধরনের অভিযানে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপরিবহন সংকটের সম্ভাবনা দেখছি না। এটা নিয়মিত অভিযান। বাস মালিকেরা কতদিন গাড়ি না চালিয়ে পারবে।