যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার ব্যবহৃত গুপ্তচর সরঞ্জামের একটি সংগ্রহ অনলাইনে ফাঁস করে দিয়েছে হ্যাকাররা। তবে এগুলো অনলাইনে ফাঁস না করলেও কালোবাজারে প্রায় ২০ লাখ ডলারে তা বিক্রি হতো বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এটিকে মারাত্মক ক্ষতি হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তারা।
গত শুক্রবার হ্যাকার গ্রুপ ‘শ্যাডো ব্রোকার’ দের দ্বারা এগুলো ফাঁস হয় বলে জানানো হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১৫ টি গোপন ফাইলসহ অন্তত চারটি উইন্ডোজকে হ্যাক করা হয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। খবর বিবিসি’র।
যেগুলোর মাধ্যমে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) দ্বারা বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেম এর মধ্যে গুপ্তচরের কাজ চলানো হতো।
দেশটির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাকার হাউজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা মাথিউ হিকি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে আমার দেখা ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলোর এটি একটি। এসব ‘টুলস’ একটি দেশের জাতীয় পর্যায়ে গুপ্তচরের কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তবে ফাঁসের পর এখন যে কেউ চাইলে ডাউনলোড করে এর দ্বারা যেকোনো সার্ভারে আক্রমণ চালাতে পারে।’
এসব ‘টুলস’ দ্বারা উইন্ডোজ ৭ ও উইন্ডোজ ৮ সহ অন্যান্য যেকোনো উইন্ডোজ নির্ভর সার্ভারের নিরাপত্তা ভেঙ্গে তার ভেতরে প্রবেশ করা যায়। মাথিউ হিকি জানিয়েছেন, ফাঁসকৃত ‘টুলস’গুলোর কার্যকারিতা তার ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং সেখানে এগুলোকে ভেরিফাইড হিসেবে দেখা গেছে।
আর এই ঘটনাটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য ফাঁসে ‘এডওয়ার্ড স্নোডেন বিপর্যয়’ পরবর্তী সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকি স্নোডেন নিজে টুইটারে এক পোস্টে সম্প্রতি আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় মার্কিন বোমা ফেলার ঘটনাকে ইঙ্গিত করে এটিকে ‘মাদার অব অল এক্সপ্লোইটস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিবিসি।
তবে এনএসএ এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে, গত বছর হ্যাকাররা এ ধরণের টুলস ব্যবহার করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর রিজার্ভ থেকে ৮শ’ ৮ কোটি টাকা চুরি করে নেয়।