পৃথিবীর যে স্থানে আমরা বসবাস করি তার ওপরিতলের নাম ভূত্বক। সেখান থেকে নিচে নামলে ক্রমে গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সমুদ্রের তলদেশ থেকে ড্রিল করে গভীরে প্রবেশ করা সবচেয়ে সুবিধাজনক।
জাপানি গবেষকরা পরিকল্পনা করেছেন প্রাথমিকভাবে তারা সমুদ্রের তলদেশ থেকে ড্রিল করে প্রথমে দেড় কিলোমিটার গভীরের নমুনা সংগ্রহ করবেন। এরপর ক্রমে আরও গভীরে তারা ড্রিল করবেন। এতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ছয় কিলোমিটার এবং পরবর্তীতে তা ১২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ড্রিলিংয়ের জন্য তিনটি সম্ভাব্য স্থান বাছাই করেছেন গবেষকরা। এগুলো হলো হাওয়াই, মেক্সিকো ও কোস্টারিকা। বর্তমানে প্রক্রিয়া শুরু হলেও মূল ড্রিলিং শুরু হবে ২০৩০ সালে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ড্রিল করেছে রাশিয়ানরা। ১৯৮৯ সালে রাশিয়ান একটি প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার গভীরে ড্রিল করা হয়। সে প্রকল্পের নাম ছিল দ্য কোলা সুপারডিপ বোরহোল। এবার জাপানিদের ড্রিল তার চেয়েও গভীরে প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপান পৃথিবীর গভীর কেন্দ্রের দিকে ড্রিল করবে
পৃথিবীর অভ্যন্তরে কী রয়েছে তা অনুমান করা হলেও বাস্তবে জানা যায়নি। সম্প্রতি জাপানি গবেষকরা এ বিষয়টি জানার জন্য সমুদ্রের তলদেশ থেকে গর্ত করে পৃথিবীর গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।