ঢাকা : উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে দিকনির্দেশনা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পর্যবেক্ষণসহ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে বলে রায়ের সংক্ষিপ্তসারে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত।
বিচারক নিয়োগে নীতিমালা তৈরির প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী।
রিট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে সাত মাস আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন আদালত।
বিষয়টি আজ রায়ের জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসে। আদালত রায়ে সংক্ষিপ্তসার জানিয়ে দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজীম।
বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ২০১০ সালের ৩০ মে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন।
রুলে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই-প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে না এবং নিয়োগের নির্দেশনা প্রণয়ন করে তা কেন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।