যে সে নন। মার্কিন ফার্স্ট লেডি বলে কথা। ট্যাবলয়েডে তাঁকে নিয়ে কিনা ‘অশালীন’ চর্চা? জানতে পেরেই সোজা মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। অভিযোগ প্রমাণ করতে না পেরে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটি। ভাল রকম খেসারত দিয়ে এখন মুখরক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
মেলানিয়ার কাছে ক্ষমা তো চাইতে হচ্ছেই। তার উপরে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে অন্তত ১৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ট্যাবলয়েডটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘আমরা মেনে নিচ্ছি, মিসেস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে। ওই দাবি ফিরিয়ে নিচ্ছি। প্রকাশিত ওই খবরের জন্য ওঁর যদি কোনও অসুবিধে হয়ে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তখনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে বসেননি। নির্বাচনের আগে গত বছর সেই সময় জোরদার প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী। স্বভাবতই বিভিন্ন দৈনিক-ট্যাবলয়েড তিনিই তখন শিরোনামে। খবরে আসছিলেন তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভাঙ্কা এবং পরিবারের অনেকেই। সেই সূত্রেই মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ খবরটি ছাপে ওই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড।
২০১৬ সালের ২০ অগস্ট ওই ট্যাবলয়েডের খবরটির শিরোনাম ছিল অনেকটা এই রকম, ‘স্ত্রীর অতীতের যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া ছবি ও সেই সংক্রান্ত গোলমেলে প্রশ্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে বিপদে ফেলতে পারে ট্রাম্পকে!’ পাশাপাশি দু’পাতা জুড়ে ছবি-সহ এই খবর ছাপা হয়। মডেল হিসেবে মেলানিয়া ট্রাম্পের কাজের ‘ধরন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তাতে। আদালতের মতে, লেখায় অত্যন্ত কুরুচিকর ইঙ্গিত ছিল।
আইনি বিবৃতিতে রয়েছে, ‘‘মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে মিথ্যে এবং আপত্তিকর কিছু দাবি রয়েছে প্রতিবেদনে। লেখা হয়েছে, উনি মডেলিংয়ের বাইরেও বিশেষ কিছু কাজ করে থাকেন। কিন্তু এই দাবির কোনও ভিত্তিই নেই।’’ প্রতিবেদনেও সে কথা উল্লেখ করা ছিল যে মেলানিয়া এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। মডেলিং এজেন্সির মালিক পাউলো জাম্পোল্লিও ওই দাবি মেনে নেননি। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে কিছুই ছাপতে পারেনি ট্যাবলয়েড। ডোনাল্ড-মেলানিয়া সম্পর্কের সময় ঘিরেও প্রশ্ন তুলেছিল ট্যাবলয়েড। লেখা হয়েছিল, ‘যে সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার সম্পর্ক তৈরি হয় বলে ওঁরা দাবি করেন, তা ঠিক নয়। আসলে ওঁদের ঘনিষ্ঠতা তারও তিন বছর আগে থেকে। পরে ব্যাপারটা চেপে গিয়েছিলেন ওঁরা।’ এ-ও ঠিক নয়, জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।