এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ গতকাল ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় ভয়াবহ আগুনে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের দাবি, ফায়ার সার্ভিসের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কম হতে পারতো।
ফায়ার সার্ভিসের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন গতকালের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চাপায় আহত লাবনী এলুমিনিয়াম স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. হাফিজুর রহমান।
স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলোঃ
গতকাল ১০/০৪/২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে আমার দোকানের পিছনে গোডাউন ঘরে আকষ্মিকভাবে আগুন লাগে। এক পর্যায়ে অবহেলিত ফায়ার সার্ভিসের দল উপস্থিত হলে, তাদের পানির লাইনের পাইপ অকেজো অবস্থার কারণে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়নি।
তার এক পর্যায়ে পানি শেষ হয়ে গেলে ভিড়ের মাঝে ড্রাইভার বেপোরোয়াভাবে গাড়ী চালিয়ে যাবার সময় আমার একটি পায়ের উপর দিয়ে গাড়ী চালিয়ে দেয়। তারপর একটি এতিম বাচ্চার দুই পায়ের উপর দিয়ে গাড়ীটি চালিয়ে নিয়ে যায়। অথচ এই ফায়ার সার্ভিসের কর্তৃপক্ষকে কেউ দায়ী করলেন না।
অনেক সাংবাদিকরা রিপোর্ট করলো, কিন্তু কি কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলো না, সে বিষয়ে কোন সাংবাদিক ভাইদের তেমন কোন ভুমিকা দেখলাম না।
মুলত সম্পূর্ণ দায়ভার ফায়ার সার্ভিসের অকেজো পানির লাইনের জন্য। আগুন নেভানোর জন্য পানির স্পিড যত দ্রুত হওয়া উচিত সেই তুলনায় তাদের কোন রকম পানির স্পিড না থাকায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যার্থ হয়।
কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরা রিপোর্ট করলেন না। এই অকেজো ফায়ার সার্ভিসের কারণে আমাদের ব্যাবসায়িদের এত বড় ক্ষতি হল। তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম কেউ দোষারোপ করল না।
আমি চরমভাবে ধিক্কার জানাই জেলা শহরে এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রন আনতে ফায়ার সার্ভিসের দল ব্যার্থ হয়ে যাওয়ার জন্য। পরে বালিয়াডাংগী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনে।