পয়লা বৈশাখ ঘিরে চাঁদপুরে ২৫০ টন ইলিশ মজুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৫০ টন এবং মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ২০০ টন ইলিশ। এসব ইলিশ বর্তমানে চাঁদপুরে খন্দকার ফিশ প্রসেসিং অ্যান্ড আইস প্ল্যান্ট কমপ্লেক্সে রয়েছে।
খন্দকার ফিশ প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক খন্দকার বলেন, সরকারি অনুমতি নিয়ে এসব ইলিশ মজুত করা হয়। পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মজুত করা ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০ কেজি করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে এসব ইলিশ। এর মধ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২৭৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৭০ টাকা কেজি, এক কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০ টাকা কেজি এবং ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রমতে, মার্চ ও এপ্রিল—এই দুই মাস ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধসহ ইলিশ কেনাবেচা, পরিবহন, মজুত বন্ধ রাখা হয়। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় এই ইলিশ বাজারজাত করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বলেন, খন্দকার ফিশ প্রসেসিং অ্যান্ড আইস প্ল্যান্ট কমপ্লেক্সে হিমায়িত ও মজুতকৃত ১৬০ টন ইলিশ বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছে।