পুরোনো কাগজে নানা রকম ঘ্রাণ লেগে থাকে। সেগুলো অতীতের চিহ্ন। তাই এসব সুবাস আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের একটি সম্ভ্রান্ত বাড়ির বিভিন্ন জিনিসের গন্ধ সংগ্রহের কাজে একদল বিজ্ঞানী মনোনিবেশ করেছেন।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নোল হাউসে গিয়ে ওই গবেষক দল বইপত্র, দস্তানা, ভিনাইল রেকর্ড, মেঝের মোম প্রভৃতি উপাদানের গন্ধ সংরক্ষণ করছে। কাজটা বেশ জটিল। শুঁকে দেখলেই তো শেষ নয়, আরও অনেক কিছু করতে হয়। একেকটা জিনিসের গন্ধের প্রতিরূপ বানিয়ে সেটা পরীক্ষাগারে যাচাই করে দেখছে একই রকম হয়েছে কি না। কখনো কখনো সেটা বাড়ির বিভিন্ন কাগজপত্রে লিখিত বিবরণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) গবেষক সেসিলিয়া বেমবিব্র এই প্রকল্পে কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রসায়নবিদ ম্যাটিজা স্ট্রলিক। সেসিলিয়া বলেন, ঘ্রাণের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার সুযোগ অনেক। এসব ঘ্রাণের একধরনের ‘সাংস্কৃতিক মূল্য’ আছে।
এই প্রকল্প নিয়ে ম্যাটিজা ও সেসিলিয়া একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। সেটা হেরিটেজ সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বার্মিংহামের একটি গ্যালারির দর্শনার্থীদের মধ্যে পরিচালিত জরিপের প্রসঙ্গ আছে। সেখানে তাঁরা কাগজ শুঁকে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন। কিসের গন্ধ সেটা তাঁদের প্রথমে বলা হয়নি। দর্শনার্থীরা কাগজ শুঁকে অনুভূতি জানাতে যেসব জিনিসের কথা বলেছেন, সেগুলোর মধ্যে চকলেট, কাঠ, কফি ইত্যাদি বেশি।