অবশেষে দীর্ঘ ‘নিষ্ক্রিয়তা’ ভেঙে সিরিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়ল আমেরিকা। রাশিয়ার প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে টিকে থাকা আসাদের সেনাবাহিনীকে ‘শিক্ষা’ দিতে সিরিয়ার শায়রত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হানল মার্কিন ফৌজ। ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে আসাদের বাহিনীর রাসায়নিক হামলার জবাব দিতেই এই পাল্টা আক্রমণ। রাসায়নিক হামলার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছিলেন এই আক্রমণের।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভূমধ্যসাগর থেকে সিরিয়ার শায়রত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ৫৯টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে মার্কিন সেনা। অসমর্থিত সূত্রে খবর, হোমস প্রদেশের ওই বিমানঘাঁটি এই হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নিহত হয়েছেন কয়েক জন সিরীয় সেনাও।
দিন কয়েক আগে আসাদের সরকার ইদলিব প্রদেশে ‘বিদ্রোহী’ দমনে রাসায়নিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় অন্তত ২০ শিশু-সহ ৭০ জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ।
উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে টোমাহক হামলার পর শায়রত বিমানবন্দরের অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত।
মার্কিন সূত্রে খবর, যেখানে টোমাহক হামলা চালানো হয়েছে, তার কাছাকাছি রাশিয়ার সেনা ক্যাম্পও রয়েছে। তবে আগে থেকেই এই হামলার খবর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রুশ সেনারা নিরাপদ স্থানে সরে যায় বলে পেন্টাগনের মুখপাত্র জেভ ডেভিস জানান।
মার্কিন বিদেশ সচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমনটা নয় যে এই হামলার পর সিরিয়ায় যে মার্কিন নীতি চলছে সেটা থেকে সরে আসা হবে।
আমেরিকার এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিন মার্কিন প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এ রকম হামলা চালালে মার্কিন-রুশ সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরতে পারে।