লিয়নেল মেসিকে ছাড়াও বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ঠিকই মূল পর্বে জায়গা করে নিবে বলে বিশ্বাস করেন ব্রাজিলিয়ান ফুল-ব্যাক ডানি আলভেস।
গত মাসে চিলির বিপক্ষে রেফারীর সাথে অশোভন আচরণের দায়ে মেসিকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ইতোমধ্যেই বলিভিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ী বাছাইপর্বেল ম্যাচটিতে মেসি অনুপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে বাছাইপর্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে এডগার্ডো বাওজার দল। হাতে থাকা বাকি ম্যাচগুলো থেকে অবশ্যই পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
আর্জেন্টিনার সামনে মূল পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা থাকলেও বাছাইপর্বে ১৪ ম্যাচে ১০ জয় নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই ব্রাজিল রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবে মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার আলভেস দক্ষিণ আমেরিবকার দুই পরাশক্তির খেলার ব্যপারে দারুন আত্মবিশ্বাসী।
ফিফা.কম’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আলভেস বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা অবশ্যই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে। তারা অবশ্যই বিশ^কাপে খেলবে। ফুটবলে তারা অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল। ইতিহাস সবসময়ই বিশেষ কিছু বয়ে নিয়ে আসে। তাদের দলে অবশ্যই দারুণ সব খেলোয়াড়রা আছে। বিশে^র অন্যতম সেরা একটি দলকে বাদ দিয়ে বিশ^কাপ কল্পনা করাও কঠিন। যে দলে মেসি, মাসচেরানো আছে তাদের পক্ষে সবই সম্ভব।’
ব্রাজিল বর্তমানে মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করলেও তাদের বাছাইপর্ব শুরুর চিত্রটা মোটেও সুখকর ছিল না। প্রথম ছয় ম্যাচ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল সেলেসাওরা। আলভেস বলেন, এর মূল কারণ হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিপক্ষরা সবাই কঠিন প্রতিপক্ষ। আমার মতে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লড়াই এই অঞ্চলেই হয়। এখানে নিজেকে মানিয়ে নেয়াটা জরুরি। বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা কিংবা এই ধরনের কোন দেশে সকলকেই যেতে হবে। এই দেশগুলোতে খেলা বেশ কষ্টকর। এখানকার আবহাওয়া বেশ বিরুপ। সেখানে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আগেও যেমন ছিল এখনো তাই, সবসময়ই পুরো বিষয়টা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা। এখানে কোন অযুহাত দিলে চলবে না। বাছাইপর্বেই প্রমাণিত হয় কোন দল কতটা পরিণত।
ব্রাজিলের এই পুনরুত্থানের পিছনে অবশ্য নতুন কোচ তিতের অবদান অনস্বীকার্য। তার অধীনে সেলসাওরা টানা নবম ও বাছাইপর্বে অষ্টম জয় তুলে নিয়েছে। আলভেস বলেন, আমাদের দলে সেই একই খেলোয়াড় রয়েছে, দলের কৌশলে পরিবর্তন হলেও আমরা আগের মতই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মূল বিষয় হচ্ছে ফলাফল যখন অনুকূলে থাকে না তখন মাঝে মাঝে পরিবর্তনটা জরুরি হয়ে পড়ে। আমাদের সাথেও তাই হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পেরেছি আমাদের কি করতে হবে। আর এর ফলেই শেষ স্থান থেকে আমরা শীর্ষে উঠে এসেছি। কিন্তু আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। সময়ই বলে দিবে আমাদের কতটুকু উন্নতি হয়েছে। বিশ্বকাপে যাবার লক্ষ্য আমাদের অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।