শ্রীলঙ্কাকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

Slider টপ নিউজ

9a5317cfd8179eed38e192a3a1868ebd-58e3c325c9f4a

ঢাকা;  স্কোরকার্ডে কোনো রান জমা না হতেই লাসিথ মালিঙ্গার ইয়র্কারে তামিম ইকবাল (০) বোল্ড হওয়ার ধাক্কাটা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন সাব্বির রহমান-সৌম্য সরকার। এই জুটিটা যেভাবে এগোচ্ছিল, বড় স্কোর পেতেই পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তা হয়নি। কলম্বোর প্রেমাদাসায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান।
অথচ ৫ ওভার শেষেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৭। ষষ্ঠ ওভারে জোড়া ধাক্কায় ফিরলেন সাব্বির-সৌম্য দুজনই। দুই ওভার পর ফিরলেন মুশফিকও। ২০ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে নিতে নিতেই ফুরিয়ে গেল ২০ ওভার। শেষে আর ঝড় তোলা তাই হয়নি।
এই মাঠে আগে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। ২০১৫ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কার ১৭২ রান পাকিস্তান টপকেছিল ১ উইকেট হাতে রেখে। শ্রীলঙ্কায় সর্বোচ্চ ১৭৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটিও পাকিস্তানের। পাল্লেকেলেতে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান ছুঁয়েছিল ৮ উইকেট হাতে রেখে। অবশ্য দিবারাত্রির ম্যাচে এই মাঠে ১৭২-এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাড়া করে জেতার স্কোরটা ১৪২। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের বড় সীমানা আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।
তবে স্কোরটা যে মনমতো হয়নি তা মোসাদ্দেকের অভিব্যক্তিতেই বোঝা যাচ্ছিল। তামিম ফিরে যাওয়ার পর ওই ওভারের শেষ বলে মালিঙ্গাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান সৌম্য সরকার। তবে এর পর মালিঙ্গাকে দারুণ খেলেছেন সাব্বির-সৌম্য। প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান পেসার, নিজের দ্বিতীয় ওভারেই এসে দিলেন ১৭ রান! ২ ওভারে ২৩।
নুয়ান কুলাসেকেরাও পাত্তা পাচ্ছিলেন না। প্রথম ৫ ওভারেই তাই বাংলাদেশের রান ৫৭। ২৯ বলে ৫৭ রান যোগ করা সৌম্য-সাব্বিরের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই, সাব্বিরের দুর্ভাগ্যজনক এক রান আউটে। দোষটা সাব্বিরেরই, ভিকুম সঞ্জয়ার বলটা কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন। দিক না বদলে সোজা দৌড়ালেই বেঁচে যেতেন বোলিং প্রান্তে সেকুগে প্রসন্নর সরাসরি থ্রো থেকে। ১৪ বলে ১৬ রান করে সাব্বির ফেরার পর ওই ওভারের পঞ্চম বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিলেন সৌম্যও (২০ বলে ২৯)। ওই ওভারটা থেকে এল মাত্র ১ রান । বাংলাদেশেরও ছন্দটা যেন কেটে গেল তাতে।
পরপর দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে নেবেন কী, মুশফিক নিজেও বেশিক্ষণ টিকলেন না। আসেলা গুনারত্নেকে স্কুপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেলেন। ১ উইকেটে ৫৭ থেকে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৭০ হয়ে গেল কিছুক্ষণের মধ্যে। নবম ওভারে গুনারত্নের হাতেই পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফিরলেন ১৫ বলে ১১ রান করে।
বাংলাদেশকে যা একটু আশা দিল মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক হোসেনের ষষ্ঠ উইকেটে তোলা ৪২ বলে ৫৭ রানের জুটি। মালিঙ্গার আরেকটি ইয়র্কারে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড ২৬ বলে ৩১ রান করে। মোসাদ্দেক অপরাজিত ৩০ বলে ৩৪ রানে। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৩২ রান। স্কয়ার লেগে মালিঙ্গাকে সৌম্যর ফ্লিক করে মারা ছক্কাটাই বাংলাদেশের একমাত্র ছয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৫/৬ (মোসাদ্দেক ৩৪*, মাহমুদউল্লাহ ৩১, সৌম্য ২৯, সাব্বির ১৬, সাকিব ১১, মাশরাফি ৯*, মুশফিক ৮, তামিম ০; মালিঙ্গা ২/৩৮, প্রসন্ন ১/১৯)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *