সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের বি:বাজার উপজেলার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চৈত্র মাসের অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাতের সাথে শিলাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে মৌসুমী ফলের মুকুল। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এ মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত অারোও প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে অবশিষ্ট জমির বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উন্নত জাত ও স্থানীয় জাত মিলিয়ে ৫ হাজার ৯শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ করেন প্রান্তিক কৃষকরা। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি পাতের ফলে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
উপজেলার আলীনগর ও চারখাই ইউনিয়নসহ বেশ কিছু উচু এলাকার জমিগুলোর বোরো ধান তলিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে অবশিষ্ট জমির বোরো ধানও রক্ষা পাবেনা বলে আশংকা করা হচ্ছে।
গত বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে বিয়ানীবাজারসহ পুরো সিলেট অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অতিবৃষ্টির পাশাপাশি শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া বোরো ধানের পাশাপাশি আম, কাঠাল, লিচুসহ মৌসুমী ফলের মুকুল ঝরে গেছে। অপ্রত্যাশিত চৈত্রবর্ষণে প্রান্তিক চাষিরা বেকায়দায় পড়েছেন। চারখাই, শেওলা, দুবাগ, তিলপাড়া, মাথিউরা, মুড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রবল বর্ষনের ফলে সৃষ্ট পানিতে বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ে গাছগুলো প্রায় ফল শূণ্য। এ সময় কয়েকজন চাষীর সাথে কথা বললে তারা জানান, চলতি বছর তাদের আবাদ করা সকল জমির ফসল পানির নিচে চলে গেছে। ধানের “থোড়” তলিয়ে যাওয়ায় পানি নেমে গেলেও ফসল পাওয়া যাবেনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে অবশিষ্ট বোরো ধান নিয়েও শংকা থাকবে। এখনো বেশ কিছু উচু এলাকার জমির বোরো ধান রক্ষা পেলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সেগুলো তলিয়ে যাবে।
তিনি অারও বলেন, বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আম, কাঠাল, লিচুসহ মৌসুমী ফল মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।