ঢাকা : মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কে (ফ্লাইওভার) বিদ্যুৎ নিয়ে বিড়ম্বনা শেষ হচ্ছে না। বারবার বৈদ্যুতিক তার চুরি হওয়ায় রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
উড়ালসড়কে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা অংশে দুই কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার (কেব্ল) চুরি হয়েছে। এ জন্য বিদ্যুৎ খুঁটিগুলোয় আলো জ্বলছে না। সন্ধ্যার পর যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। বাংলামোটর-ওয়্যারলেস অংশ গত সেপ্টেম্বরে চালুর প্রায় পাঁচ মাস পর বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। সেখানেও তার চুরি হয়।
গত বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে এই অবস্থার কথা জানা যায়। উড়ালসড়কের হলি ফ্যামিলি-সাতরাস্তা অংশটি চালু হয় এক বছর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ। তারপর থেকে পুরো উড়ালসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি দৃশ্যমান। এখনো তাই। দিনের বেলায় বোঝার উপায় নেই যে খুঁটির বাতিগুলো জ্বলে না। টঙ্গী ডাইভারসন রোড এলাকার কয়েকজন দোকানি বলেন, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বোঝা যায় বিদ্যুৎ খুঁটির বাতিগুলো জ্বলছে না। রাত বাড়লে যখন চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা কমে আসে, তখন উড়ালসড়কের ওপর ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে।
রাত আটটার দিকে উড়ালসড়ক পথ ধরে হলি ফ্যামিলি প্রান্তে নেমে আসার পর একাধিক গাড়িচালকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, গাড়ির হেডলাইট ছাড়া কিছু দেখা যায় না। মাঝখানে বিভাজক থাকলেও আলো না থাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে মনে হয় মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে। এটা বিপজ্জনক।
উড়ালসড়কের অন্যতম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান বলেন, ‘ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি-সাতরাস্তা অংশে কয়েক দিন আগে চোরেরা ইস্পাতের পাত ভেঙে বৈদ্যুতিক কেব্ল নিয়ে গেছে। নতুন করে কেব্ল লাগিয়ে চালু করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।’
গত সেপ্টেম্বরে চালু হয় বাংলামোটর থেকে মগবাজার ওয়্যারলেস পর্যন্ত উড়ালসড়কের অপর একটি অংশ। কিন্তু গত জানুয়ারি পর্যন্ত ওই অংশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু ছিল না। যদিও খুঁটি এবং কেব্ল ছিল। ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) মগবাজার পরিচালন বিভাগ থেকে বলা হয়, কারিগরি কারণে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে ডিপিডিসির অপর এক সূত্রে জানা যায়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিলম্বিত হচ্ছিল। এ বিষয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানুয়ারিতে এই অংশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়। তবে সংযোগ দেওয়ার কিছুদিন পর ওই অংশের তারও চুরি হয়ে যায়। পরে আবার তার লাগানো হয়। তমা কনস্ট্রাকশনের এমডি বলেন, এমনিতেই বিদ্যুতের লাইন পেতে দেরি হয়। সংযোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সব তার চুরি হয়ে যায়। সেখানে আবার তার লাগিয়ে নিরাপত্তারক্ষী বসিয়ে রাখা হয়েছে।’