প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার ফরিদপুর সফরে গেছেন। নানা কর্মসূচির মধ্যেই সময় বের করেছেন বেয়াই বাড়ির জন্য। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেয়াই স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলির বাড়ি ‘আফসানা মঞ্জিলে’ যান। সেখান থেকেই বিকেল পৌনে তিনটার দিকে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার উদ্দেশে রওনা হবেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ হাবিব এ মিল্লাত, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন ওরফে বাবর, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন প্রমুখ। আর সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালউদ্দিন আহমেদ, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে গাড়িবহরের শোভাযাত্রা করে ফরিদপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউসের ভিআইপি মিলনায়তনে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বাড়িতে যান। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পুত্রবধূ। প্রধানমন্ত্রী মধ্যাহ্ন বিরতির সময়টুকু বেয়াই বাড়িতেই অবস্থান করবেন। দুপুরে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ভর্তা, সবজি ও মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল তিনটায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২০টি নির্মাণ প্রকল্পের ফলক উন্মোচন ও ১২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার উদ্দেশে ফরিদপুর ছাড়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আরেকটি হেলিকপ্টারে করে ফরিদপুরে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর আলম হানিফ, দিপু মণি ও আবদুর রহমান প্রমুখ।
ফরিদপুরে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী যে ২০টি নির্মাণ প্রকল্পের ফলক উদ্বোধন এবং ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
উদ্বোধন করবেন
ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, পল্লিকবি জসীম উদদীন সংগ্রহশালা নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প, শিশু একাডেমি নির্মাণ প্রকল্প, কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহা পরিদর্শকের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফরিদপুর নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্প, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষা হল নির্মাণ প্রকল্প, সদর উপজেলাধীন চর কমলাপুর খেয়া ঘাট হতে বিল মামুদপুর স্কুল সড়কে কুমার নদের ওপর ৯৬ মিটার দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প, ভাঙা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস নির্মাণ প্রকল্প, বিএসটিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ভাঙা থানা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নির্মাণ প্রকল্প, সদর উপজেলা হতে বাখুন্ডা জিসি হয়ে রসুলপুর ভায়া চর নিখুর্দি সড়ক বিসি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মুন্সিডাঙ্গি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ প্রকল্প এবং ৩৩/১১ কেভি হাড়োকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র প্রকল্প।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
কুমার নদ পুনঃ খনন প্রকল্প, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আলফাডাঙ্গা এর নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর পলিশ সুপারের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, পুলিশ অফিসার্স মেস নির্মাণ প্রকল্প, সালথা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, চন্দ্রপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস নির্মাণ প্রকল্প, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্মাণ প্রকল্প, ১৫০০ আসন বিশিষ্ট মাল্টি পারপাস হল নির্মাণ প্রকল্প, সালথা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প এবং সদরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নির্মাণ প্রকল্প।