ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, ‘জিরকন’ নামের এ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৬০০ মাইল বেগে ছুটতে পারে। জিরকন প্রতি আড়াই মিনিটে ১৫৫ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারবে। এটি ৫০০ মাইলের ভেতরে থাকা যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে জিরকনের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। পরমাণু শক্তিচালিত রুশ ক্রুজার ‘পিওতর ভেলিকিতে’ ২০১৮ সালে এটি স্থাপন করবে দেশটি। এদিকে রাশিয়ার নতুন দ্রুত গতিসম্পন্ন এ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাজ্যের পক্ষে এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ৬২০ কোটি পাউন্ড মূল্যের বিমানবাহী রণতরী ‘এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ’ এবং ‘এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসকে’ এক আঘাতেই ডুবিয়ে দিতে পারবে জিরকন। বর্তমানে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ মাইল গতির ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা সম্ভব।
জিরকনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা কোনো ভাবেই কাজ করবে না। ফলে নিজেদের বিমানবাহী রণতরী রক্ষা করতে হলে সেগুলোকে ৫০০ মাইল পাল্লার দূরে রাখতে হবে যুক্তরাজ্যকে। এ সম্পর্কে ব্রিটিশ নৌ বিশেষজ্ঞ পেট স্যান্ডম্যান বলেন, জাহাজ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে শব্দের চেয়ে অতি দ্রুত গতির রুশ ক্ষেপণাস্ত্র জিরকন।