অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে কোনো একটি মডেলকে বেছে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন। এর অন্যতম কারণ হলো বিভিন্ন নির্মাতার প্রচুর মডেলের ছড়াছড়ি। এর মধ্যে কোনোটি অতিরিক্ত বড়, কোনোটি অতিরিক্ত দামি, কোনোটি আবার ব্যবহার করা কঠিন। এসব বিষয় বিবেচনা করে দুরুহ কাজটি সম্পন্ন করেছে বিজনেস ইনসাইডার। তারা বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করে এ সময়ের সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হিসেবে ঘোষণা করেছে ‘এইচটিসি ওয়ান এম এইট’ মডেলটিকে।
আইফোনের মতোই এ স্মার্টফোনটির বডি তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। অন্যদিকে স্যামসাং ও এলজির স্মার্টফোনগুলো মূলত প্লাস্টিক বা পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি।
স্মার্টফোনটির ডিজাইনই শুধু আকর্ষণীয় নয়, এর অডিও ও ভিডিও মানসম্মত। এইচটিসির বুমসাউন্ড স্পিকার এখনও অন্য নির্মাতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর কারণেই মূলত ফোনটির সাউন্ড অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় শক্তিশালী ও নিখুঁত।
স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিক দিয়ে এটি বাজারের সেরা না হলেও মানসম্মত। স্মার্টফোনটির ১০৮০পি রেজুলিশনের স্ক্রিন গ্যালাক্সি এস৫-এর মতোই। এর চেয়ে নিখুঁত স্ক্রিন রয়েছে গ্যালাক্সি নোট ৫-এর।
ব্যাটারির স্থায়ীত্বের দিক দিয়ে স্মার্টফোনটি যথেষ্ট উন্নত। এর ক্যামেরায় রয়েছে প্রচুর অপশন। এর মধ্যে অন্যতম হলো ছবির ফোকাস পরিবর্তনের সুযোগ। কম আলোতেও এ স্মার্টফোনটি অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ভালো ছবি তুলতে পারে।
এর সফটওয়্যার বেসিক অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় কিছুটা পরিবর্তিত। আর আপডেটের ক্ষেত্রে এইচটিসি সব সময়েই গুরুত্ব প্রদান করে।
৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে কর্নিং গোরিলা গ্লাস ৩ ও মাল্টিটাচ সাপোর্ট। ২.৩ গিগাহার্জ কোয়াড কোর (এশিয়া/চীনে ২.৫ গিগাহার্জ) প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ২ জিবি র্যাম, ১৬ বা ৩২ জিবি মেমোরি, ডুয়াল ৪ এমপি প্রাইমারি ক্যামেরা ও ৫ এমপি পেছনের ক্যামেরা।
বাংলাদেশের বাজারে ‘এইচটিসি ওয়ান এম এইট’ সেটটির মূল্য হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।