বাগেরহাট প্রতিনিধি; বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে ৪ জন নিহত হয়েছেন। মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুসহ কমপক্ষে অর্ধশত নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মোড়েলগঞ্জের ছোলমবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে যাওয়ার পথে কিনারের কাছাকাছি এসে পৌঁছলে খুলনা অভিমুখে যাওয়া নৌবাহিনীর জাহাজের (পি-৩১২) ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৫০/৬০ জন যাত্রী সাঁতরে কিনারে উঠতে সক্ষম হন। বাকি যাত্রীরা স্রোতের তোড়ে হারিয়ে যায়। এ সময় আহত ও উদ্ধারকৃত যাত্রীদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড কর্মীরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ ঘটনায় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে, এরা হলেন- বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের মহসিন আলীর স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৮), গুয়াবাড়িয়া গ্রামের হাসেন হাওলাদারের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫০) ও চিংড়াখালী গ্রামের ইউনুস আলী স্ত্রী সুফিয়া (৭৫)। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে, কাছিঘাটা গ্রামের হেলেনা বেগমের ৬ বছরের শিশু, ছোট জামুয়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৮), উত্তর ফুলহাতা গ্রামের হাসিব (৮), ছোটপড়ি গ্রামের নাসিমা আকতার (১৮), রায়েন্দা বাজারের আবির (১৭), বদনিভাঙ্গা গ্রামের বশির (২২), কাছিকাটা গ্রামের আবদুল মজিদ শেখ, বরুজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান আহমেদ (৬০), ভাইজোড়া গ্রামের খাদিজা (৪০) সহ অর্ধশত নিখোঁজ রয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে মোড়েলগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রেবেকা খাতুন, খাদিজা বেগম ও আবুল খায়েরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাগেরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনির হোসেন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল জোয়ারের স্রোতে ট্রলারটি ডুবে যায়। তার কাছে ৪ জন নিহত ও ১৩ জনের নিখোঁজের তালিকা রয়েছে বলে জানান।