ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স ছাতা নিয়ে আগেই নেমে পড়েন মাঠে। তার পেছন পেছন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ড পাইক্রফট। এঁরা দুজন আগেই চলে যান পিচের পাশে। গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন দুই অধিনায়কের। দুই অধিনায়ক এলে তবেই টস।
এই দৃশ্য চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজে অতি পরিচিত। আরেকটা ‘কমন’ বিষয় মুদ্রা নিক্ষেপে বাংলাদেশের হার। এ পর্যন্ত চার ম্যাচের কোনোটিতেই জিততে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। গল টেস্ট, তারপর বাংলাদেশের শততম টেস্টে টসে হেরেছেন মুশফিকুর রহিম। ডাম্বুলায় টানা দুই ওয়ানডের টসে হারলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তা বাংলাদেশের জন্য টসে হারাটা একেবারে খারাপ যায়নি। শততম টেস্টে জয় এসেছে, প্রথম ওয়ানডেতে জয় এসেছে। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতলেই তো সিরিজ জয়! ভাগ্য ফেরাতে আজ যদিও টস জিতে ব্যাট নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
গলে প্রথম টেস্টটাও ভালো যেতে পারত। মাশরাফিই পি সারায় শততম টেস্ট দেখার ফাঁকে একসময় বলেছিলেন, ‘গলের টসে হারাটাও আমাদের খারাপ যেত না। ওখানে তো আমরা হারলাম একটা নো-বল আর একটা রানআউটের কারণে।’
নো-বলের সেই ঘটনা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের। সেই যে শূন্য রানে শুভাশিস রায়ের বলে বোল্ড হয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। সেই মেন্ডিস পরে করে গেলেন ১৯৪ রান। মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘ওই নো-বল থেকেই তো ২০০ রান বেশি পেয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। ওই রান বাদ দিলে আমরাই এগিয়ে থাকি।’
এরপর বলা যাক সেই রানআউটের কথা। তামিম ইকবাল উইকেটকিপারের হাতে বল দেখেও যেভাবে দৌড় দিলেন, আর তারপর রানআউট হলেন বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে, সেটি ছিল অকল্পনীয়!
বাংলাদেশের অধিনায়কদেরই টসভাগ্য বিশেষ ভালো নয়। এ নিয়ে আক্ষেপও নেই অধিনায়কদের। করার তো কিছু নেই! তা চলমান শ্রীলঙ্কা সফরে টস উল্টোভাবে মাটিতে পড়েও বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে হাসছে। আজ হাসলেই হয়!