হংকংয়ের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার খেলতে হয়নি, আর লক্ষ্যটাও ছিল ছোট। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাই কাল খুব একটা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে আজ কক্সবাজারে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নাসির হোসেনের সেঞ্চুরি আর মুমিনুল হকের ফিফটিতে স্কোরবোর্ডে ২৫৭ রান তুলে পরীক্ষাটায় ভালোভাবেই উতরে যেতে পেরেছ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
নেপালের বাঁহাতি পেসার অভিনাশ কর্নের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ! লাবণী পয়েন্ট প্রান্ত থেকে বোলিং করে ১৫ রানের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। নেপালের আরেক বাঁহাতি পেসার মাহবুব আলমের আঘাতে দেখতে দেখতে স্কোর ৪ উইকেটে ৩৩! তখনই বাংলাদেশের অধিনায়ক আর সহ–অধিনায়কের প্রতিরোধ, পাল্টা লড়াই।
পঞ্চম উইকেটে নাসির-মুমিনুলের ৭৮ রানের জুটি পথ দেখায় বাংলাদেশকে। দারুণ স্বচ্ছন্দে এগোচ্ছিলেন মুমিনুল। কিন্তু হঠাৎই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সন্দীপ লামিছানকে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে নেপালি অধিনায়ক জয়েন্দ্র মালার দুর্দান্ত ক্যাচ হন তিনি। সমাপ্তি ঘটে সাতটি চারে সাজানো ৬১ রানের ইনিংসটার। অধিনায়ককে হারিয়ে বাংলাদেশ তখন আবারও চাপে।
এক প্রান্তে আগলে রেখে সেই চাপটা একাই সামাল দিলেন নাসির। নবম উইকেটে আবুল হোসেনের সঙ্গে ৫৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে নেপালের সামনে ছুড়ে দিলেন বড় লক্ষ্যে। ১১৫ বলে নাসির শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৯ রানে। ১২ চার আর ২ ছয়ে সাজানো ইনিংসটায় খুঁত অবশ্য একটু আছে। ৩৭ ও ৯০ রানে দুবার জীবন পেয়েছেন তিনি। তবে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার বড় একটা বার্তাও দিলেন। বিপর্যয়ে দলের ত্রাতা হওয়ার অভ্যাসটায় এখনো মরচে পড়েনি তাঁর।
ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত বড় পুঁজি এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। এবার বোলারদের জ্বলে ওঠার পালা।