ব্যবসায় সফলতার জন্য নির্বাহীদের সঠিক কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এজন্য প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটি ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে, তার গতিপ্রকৃতির চুলচেরা বিশ্লেষণ ও সে অনুযায়ী সঠিক কৌশল তৈরি। এ লেখায় থাকছে সাতটি কৌশলগত প্রশ্ন, যার উত্তর জানা থাকলে সফলতার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে আপনার প্রতিষ্ঠান।
১. আপনার ‘কিওয়ার্ড’ জানেন কি?
আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকের জানা থাকা উচিত যে, আপনি কে এবং আপনার মূল বিষয়গুলো কেমন। গুগলে কেনো বিষয় সার্চ দেওয়ার সময় যেমন সঠিক কিওয়ার্ড লিখতে পারলে সঠিক ফলাফল আসে, তেমনভাবেই মূল কয়েকটি কিওয়ার্ডই হতে পারে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচয়।
২. প্রধান কাস্টমার কে?
অনেক ব্যবসায়ীই জানেন না না যে, সবাইকে মূল গ্রাহক হিসেবে রাখা যায় না। যাদের কাছ থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ীক সাফল্য পান, তাদেরই মূল গ্রাহক হিসেবে ধরা প্রয়োজন। অন্যদের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ আপনার আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়।
৩. আপনার ব্র্যান্ডের গ্যারান্টি কী?
গ্রাহকদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সেবার বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া প্রয়োজন। ফেডারেল এক্সপ্রেস যেমন নির্দিষ্ট একটি সময়ের ভেতর তাদের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার গ্যারান্টি দেয়; যে সময় পূরণ করতে না পারলে তারা অর্থ ফেরত দেবে।
৪. আপনার গোপন পরিকল্পনা কী?
ব্যবসাক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে সরাতে গোপন পরিকল্পনা বেশ কাজে দেয়। এতে অনেক সময় গ্রাহকের বিরক্তি তৈরি হলেও তা আদতে ভালো ফলাফল নিয়ে আসে।
৫. প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রধান পার্থক্য কী?
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়ীক পরিবেশে স্বতন্ত্র থাকা কঠিন। কিন্তু আপনি যদি এতে সফল হতে পারেন তাহলে তা হতে পারে মূল্যবান এক পদক্ষেপ। এজন্য প্রথমে তিনটি স্বতন্ত্র বিষয়ের তালিকা করুন, যেগুলোতে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এগিয়ে আছেন।
৬. আপনার বিশেষত্ব কী?
ব্যবসায় দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যের জন্য প্রয়োজন কিছু বিশেষত্ব। আর নিজের প্রতিষ্ঠানের এ বিশেষত্ব থেকে সুবিধা নিতে পারলে তা প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে নেবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বিশেষত্বগুলো জেনে তার সদ্ব্যবহার করা।
৭. আপনার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি কি?
কোনো প্রতিষ্ঠানের বহু বিষয় থাকতে পারে, যা থেকে লাভ আসে না। এখানে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হয় অল্প কিছু বিষয়। আর এ বিষয়গুলো হলো অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। এগুলোকে ঠিকভাবে জেনে নিয়ে তা ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড মজবুত করতে হয়।