এফবিআইয়ের হাতে তথ্য এসেছে। তা থেকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা গোপনে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি করার জন্যই ওই যোগাযোগ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সিএনএন’কে বলেছেন, এফবিআই এখন হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স, সফর, ব্যবসা, ফোন রেকর্ড ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৈঠকগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছে। তবে ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হাতে এখন যে প্রমাণ রয়েছে সেটাই সব নয়। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির সামনে হাজির হয়ে এফবিআই পরিচালক জেমস কমি ঘোষণা দিয়েছেন, তার সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সহযোগীদের গোপন যোগাযোগের বিষয় তদন্ত করছে। কারণ, এক্ষেত্রে যে অন্যায় কাজ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ সংগ্রহ করেছে তার সংস্থা। এ ছাড়া তাদের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, মার্কিনিদের কেউ কেউ বিদেশী শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকতে পারেন। ওই শুনানিতে এ কথা বলার কয়েকদিন পরই এফবিআইয়ের হাতে প্রমাণ থাকার খবর সামনে এলো। এ রিপোর্টকে ‘বোম্বসেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী একজন কর্মকর্তা সিএনএন’কে বলেছেন, তাদের হাতে যে প্রমাণ রয়েছে তা থেকে বলা যায় (ট্রাম্পের) প্রচারণা টিমের লোকজন (রাশিয়ার সঙ্গে) যোগাযোগ রেখেছিল। যখন তথ্য উপাত্ত প্রস্তুত হবে তখনই তা প্রকাশ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। এরই মধ্যে এফবিআই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক কিছু সহযোগীর বিষয়ে তদন্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, পল ম্যানাফোর্ট, রজার স্টোন ও কার্টার পেজ। তবে সোমবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার আবারও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, এমন গোপন যোগাযোগ স্থাপিত হয় নি। অভিযোগ তদন্ত করা ও তা প্রমাণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। ওদিকে বুধবার এমএসএনবিসি’কে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট রিপ্রেজেন্টেটিভ এডাম শিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে বিঘিœত করতে ট্রাম্পের প্রচারণা টিম রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করেছিল সেটাই প্রমাণ করে পরিস্তিতি। তিনি বলেন, আমি মনে করি ঘটনা তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু।
তথ্যসূত্র: অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট