সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নামে মহা প্রহসন চলছে বলে অভিযোগ করেছে ‘খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড’ নামের একটি সংগঠন। এই প্রহসন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সৃষ্ট অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিকারের দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির মহাসচিব আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে কোটি কোটি টাকার ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় সর্বজনস্বীকৃত মুক্তিবার্তা লাল বই, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার বাহিনীর গেজেট ও ভারতীয় তালিকায় নাম আছে—এমন মুক্তিযোদ্ধাদেরও হয়রানি করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই হচ্ছে একতরফা।
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাবের টাকা বন্ধ আছে অভিযোগ করে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৬ সালে সাবেক সচিব আবদুল হান্নান প্রণীত ও স্বাক্ষরিত নীতিমালায় যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ একটি ভাতা নিতে বলা হয়েছে। এতে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব ভাতা বন্ধ হয়েছে।’
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কলেজ গেট ১ নম্বর মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে ওই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে যোগ্য প্রাপকদের বরাদ্দ প্রদান করারও আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ডের চেয়ারম্যান মাহমুদ পারভেজ, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন, আজাদ আলী, নাজির আহমেদ চৌধুরী, মতিউর রহমান, বশীর চৌধুরী প্রমুখ।