বাসসের খবরে জানা যায়, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিশ্বব্যাপী নতুন উপসর্গ শুরু হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকাসক্তি। এর বিরুদ্ধে সবাইকে জনমত সৃষ্টি করার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী, শুধু দেশে নয়, যারা বিদেশে লেখাপড়া করছে, তারাও মেধার দৃষ্টান্ত রাখছে। কাজেই এরা যেন কেউ বিপথে না যায়। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যেন না জড়ায়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য আমি শিক্ষক, অভিভাবক থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ যদি আমরা গড়তে চাই, তাহলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, গবেষণা বাড়ানো এবং বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা বায়ো-টেকনোলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপলায়েড সায়েন্স এবং খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে গুরুত্ব প্রদান করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশ, মৎস্য উৎপাদনে (মিঠা পানির মাছ) বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংসসহ অন্যান্য উৎপাদনেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এসব উন্নয়ন এমনিতেই হয়নি। আমি বলব, সবই বিজ্ঞানের অবদান, গবেষণার অবদান।’
পরিকল্পিতভাবে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটার ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমাদের কারও মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হবে না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় এগিয়ে যাব। এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব সিরাজুল হক খান প্রমুখ। এ বছর ১ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ, সরকারের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তি, দেশবরেণ্য গবেষক ও বিজ্ঞানী এবং ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।