শততম টেস্টের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত গেল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্ন আগেই শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। আউট হয়ে ফিরেছেন দিমুথ করুণারত্নে, কুশল মেন্ডিস, উপুল থারাঙ্গা ও আসেলা গুনারত্নে। লঙ্কানদের জন্য বিপদের সবচেয়ে বড় কারণ হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকি দুই উইকেটের একটি মোস্তাফিজুর রহমানের, অন্যটি শুভাশিস রায়ের। লাঞ্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭০।
ইনিংসের নবম ওভারেই দিমুথ করুণারত্নেকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের তৃতীয় ও পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত মেহেদী মিরাজের। কুশল মেন্ডিসের পর ফেরান উপুল থারাঙ্গাকেও।
টসে হেরে বল হাতে মাঠে নামা বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজ। ইনিংসের নবম ওভারে করুণারত্নের ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বলে গালিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মেহেদী মিরাজ। মোস্তাফিজের পরের ওভারে উপুল থারাঙ্গাকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান থারাঙ্গা।
রিভিউতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হতাশাটা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বাংলাদেশের জন্য। ১২তম ওভারের পঞ্চম বলেই মিরাজের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন মেন্ডিস। বাংলাদেশের অফ স্পিনারের বলটি একটু নিচে নেমে খেলতে চেয়েছিলেন, মেন্ডিসকে আর নিরাপদে ফেরার সুযোগ দেননি আবারও উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিক।
শুরুর এই ধাক্কা সামলাতে থারাঙ্গার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন চান্ডিমাল। কিন্তু ১১ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি এই জুটি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে থারাঙ্গাকে ফেরান মিরাজ। অবশ্য নিচু হয়ে আসা ক্যাচটি দারুণভাবে নেওয়া কৃতিত্ব দিতে হবে সৌম্যকেও।
চতুর্থ উইকেটে চান্ডিমালের সঙ্গে মিলে ৩৫ রান যোগ করেছিলেন গুনারত্নে। ভালো একটা জুটি দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই জুটির সমাপ্তি টানলেন শুভাশিস। তাঁর বলে এলবিডব্লু হয়ে গুনারত্ন ফিরেছেন সেশনের ঠিক শেষ বলে।
চার পরিবর্তন নিয়ে কলম্বোর পি সারা ওভালে মাঠে নামা বাংলাদেশ আজ মোস্তাফিজ-মিরাজ-সৌম্য-শুভাশিসে যেন তারুণ্যর জয়গানই গাইছে।