ভবিষ্যতে কোনো আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যাতে আদালতে (এজলাস কক্ষ) তোলা না হয়, সে জন্য সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ঢাকার কারা উপমহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির আদালতে হাজির হন। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি শুনানির জন্য এলে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুলিশ ডান্ডাবেড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছে। ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন হবে না।’ যাদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়েছিল, তারা জেএমবির সদস্য বলেও তিনি জানান।
এরপর জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘পুলিশকে বলেছিলাম, পুলিশ নিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ পদ্ধতি চলে আসছে। নিয়ে আসার সময় ডান্ডাবেড়ি খোলার ব্যবস্থা নেই।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘পদ্ধতি নাই। ব্যবস্থা করবেন তো।’
এরপর আদালত দুই কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে এই আদেশ দেন।
বিচার শেষ না হওয়া পৃথক মামলায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী ১০ বন্দীর মধ্যে চারজনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আনা হয়। কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে তাঁদের হাইকোর্টে হাজির করা হয়।
ওই দিন শুনানিকালে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়টি নজরে আনেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় আদালত ব্যাখ্যা জানাতে দুই কর্মকর্তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।