যশোর শহরে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
আজ রোববার শিশুটির মা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় ওই ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিশুটিকে সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। অঅলমত সংগ্রহের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। সে তার নানির কাছে থেকে পড়ালেখা করত। গতকাল শনিবার সকালে ওই ব্যক্তি শিশুটিকে নিজের খালি ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় এই ব্যক্তির স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজে ছিলেন।
ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামাজিকভাবে সম্মান নষ্ট করার জন্য স্থানীয় একটা গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তুলে মারধর করেছে। আমি শিশুটির শরীরে হাত পর্যন্ত দিইনি। সে সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী নাতনি হয়। টেলিভিশন দেখার জন্য শিশুটি প্রায় দিনই আমার বাড়িতে আসে। গতকাল সে আমার ঘরে বসে টিভি দেখছিল আর আমি পিঠা খাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে পাশের বাড়ির এক নারী বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকে দেয়। পরে আরেকজন এসে খোঁজখবর নিয়ে যায়। তখন এর বেশি কিছু হয়নি। পরে ভ্যান চালিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরলে কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে ধরে মারধর করেন। এ সময় হুমকি দিয়ে ওই মেয়েটির কাছ থেকে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি আদায় করেন।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকেরা আলামত সংগ্রহ করেছেন।’