দোলের শুভেচ্ছা জানাই। রঙের উৎসবে মজবেন মানুষ, সেই উৎসবে থাকুক মিলনের সুর। ভারতের অন্য প্রান্তে রঙের উৎসব সোমবার। তবে তার আগে হিন্দিভাষী ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে হোলি শুরু হয়ে গেল শনিবারেই। সেই হোলির রং গেরুয়া। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে গেরুয়া ঝড় তুলে বিপুল ভাবে ক্ষমতায় বিজেপি। গৈরিক শিবিরে অতএব উৎসবের প্রত্যাশিত ছবি।
সংশয় নেই। এই জয় যতটা না বিজেপি-র, তার চেয়েও বেশি নরেন্দ্র মোদীর। মূলত তাঁরই কাঁধে ভর করে দেশের শক্তিশালী এই ভূখণ্ডে নিজেদের অস্তিত্বকে এই ভাবে প্রতিষ্ঠিত করল বিজেপি। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মোদী জনমানসে এটা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন যে, এই লড়াই ধনীদের বিরুদ্ধে। ওড়িশার পঞ্চায়েত সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল, মহারাষ্ট্রের নগরেও তারই প্রতিফলন ছিল, হিন্দি বলয় সেই তত্ত্বটাকেই সিলমোহর দিল। একই সঙ্গে আরও একটা সত্যকেও তুলে ধরল শনিবারের ফল, বিরোধী শিবির বিকল্প তুলে ধরতেই ব্যর্থ হচ্ছে। পঞ্জাব, গোয়ার ফলাফলে মোদীর প্রসঙ্গে জনাদেশ নেই, আছে স্থানীয় ফ্যাক্টর। মণিপুরে শূন্য থেকে উত্থান বিজেপি-র।
এই ফলাফলের প্রভাব কী পড়বে দেশের সার্বিক অঙ্গনে? ভবিষ্যৎ দেবে তার উত্তর, তবে তার আগে এই মুহূর্তে আশা-আশঙ্কার দোলাচল। নিতান্ত সাধারণ মানুষ সুদিনের আশায় এই বিপুল জনাদেশ দিয়েছেন। এই রায় দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়।
নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব শনিবার থেকে আরও অনেকটা বেড়ে গেল।