এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ উত্তরের সীমান্তবর্তী ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁও। প্রতিটি ঋতুতে যার রয়েছে অনন্য রূপ-সৌন্দর্য। ঋতুরাজ বসন্তে অনন্য রূপে সাজতে শুরু করে জেলাটি। ফুলের সৌরভ, কোকিলের মুহুর্মুহু কলতান, প্রকৃতির সাজসজ্জা বসন্তের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাত ৩ টা থেকে ফোটা ফোটা বৃষ্টি আরম্ভ হয়। সময় যত গড়াতে থাকে বৃষ্টি ও শীত উভয়ের তীব্রতা তত বাড়তে থাকে। কখনওবা থেমে থেমে বৃষ্টি পড়তে থাকে। বেলা ১০ টার পর বৃষ্টি ককিছুটা থামলেও আকাশে মেঘের লুকোচুরি ছিল চোখ ধাঁধানো।
দুপুর ১ টার পর আবার শুরু হয় বৃষ্টি। ক্রমে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করলে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে শীতের তীব্রতা।
কখনওবা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জনপদ। সেই ভোরবেলা যারা জীবন-জীবিকার টানে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। সকাল ৮ টায় মেহনতি মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়টি হঠাতই প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়। আবহাওয়া বদলাতে শুরু করলে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে চিরচেনা বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ের রূপ।
বাসা থেকে পায়ে ৫ মিনিট হাঁটা দিয়ে বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ে এলাকায় এলাম। পাশেই যাত্রীর অপেক্ষায় হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা রিকশাচালক আলতাফুরের রিকশায় উঠলাম। সে জানায়, বৃষ্টির জন্য ঘুম বেশি হয়েছে। দেরিতে বের হওয়ার কারণে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
পূর্ব গোয়ালপাড়ার অতিপরিচিত মালাইয়ের সাথে দেখা। সে জানায়, আমি সচরাচর সকাল ৮ টায় রিকশা নিয়ে বের হই। কিন্তু ৭ টায় ঘুম থেকে উঠার পর থেকে হালকা বৃষ্টি দেখে পুনরায় লেপ মুড়ে শুয়ে পড়ি। বেলা ১০ টায় বৃষ্টি ও কুয়াশা নামতে শুরু করলে আমি বের হলাম বাসা থেকে।
আলতাফুরের রিকশায় চেপে পৌঁছলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, রাত্রিবেলা তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রীসেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও হলেও সকাল ৮-১০ টায় তা নেমে দাঁড়ায় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
সবশেষে রিকশাচালক আলতাফুরের রিকশায় চেপেই ফিরে এলাম বাসায়। এসেই ঠাকুরগাঁওয়ে আজকের ফাল্গুনী বৃষ্টি নিয়ে লিখতে বসে পড়লাম।