স্পোর্টস ডেস্ক; ইতিহাস গড়ে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ফিরতি লেগে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কাতালানরা। ন্যু ক্যাম্পে তারা জেতে ৬-১ গোলে। ম্যাচের শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করে বার্সেলোনা। কিন্তু ওই ম্যাচে বার্সেলোনার পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠলো মাঠের রেফারি ডেনিস আয়তেকিনের বিরুদ্ধে। এমন কি এ কারণে শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তিনি। জার্মানির এ ভদ্রলোক এদিন দৃষ্টিকটু রেফারিং করেন। বেশ কয়েকটি বাজে সিদ্ধান্ত দেন। সবগুলো যায় পিএসজির বিপক্ষে। বিষয়টি নিয়ে ম্যাচের পরে অভিযোগ করেন পিএসজির কোচ উনাই এমরি। এডিনসন কাভানি ও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে বার্সেলোনার ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি বলে তার অভিযোগ। অন্যদিকে সেদিন বার্সেলোনা দু’টি পেনাল্টি পায়। ম্যাচের ৫০ মিনিটে নেইমার গতির সথে দৌড়ে পড়ে যান পিএসজির ডি বক্সের মধ্যে। তার পড়ন্ত মুহূর্তে তার পায়ে গিয়ে পিএসজির এক ডিফেন্ডারের মাথা আঘাত হানে। এতে নেইমার ছিটকে পড়েন। এ সময় বার্সেলোনার পক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন জার্মান রেফারি আয়তেকিন। তবে এই রেফারির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ম্যাচের শেষ মুহূর্তের একটি সিদ্ধান্তের কারণে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বার্সেলোনার লুইস সুয়ারেজকে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দেয়ার দায়ে কাতালানের ক্লাবটির পক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। অথচ ওই সময় পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনহোস কোনোরকমে সুয়ারেজকে স্পর্শ করেন। তখন যতটানা ফাউল হয় তারচেয়ে বেশি অভিনয় করে ফায়দা তুলে নেন সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান এ স্ট্রাইকার ম্যাচের শুরুতে অভিনয় করে পড়ে যাওয়ায় একটি হলুদ কার্ড দেখেন। শেষ দিকেও তার অভিনয় করে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট ধরা পড়ে। এতে তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করতে পারতেন রেফারি। কিন্তু করেন উল্টোটা। সুয়ারেজকে ফাউল করার দায়ে পিএসজির বিপক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। বিতর্কিত এ বিষয়গুলো নজর এড়ায়নি ইউরোপিয়ান রেফারিং কমিটির। এই কমিটির বর্তমান প্রধান পিয়েরলুইজি কলিনা। তিনি ইউরোপিয়ান লড়াইয়ে বড়বড় ম্যাচগুলোকে রেফারি নির্ধারন করেন। বার্সেলোনা-পিএসজির ম্যাচে আয়তেকিনের রেফারিংয়ে হতাশ তিনি। আয়তেকিনের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান রেফারিং কমিটি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে খবর দিলো স্প্যানিশ ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’। কমিটির প্রধান কলিনা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানালো তারা। রেফারির বিরুদ্ধে কী শাস্তি হতে পারে সেটাও তারা জানালো। আপাতত ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও ইউরোপা লীগে চলতি মৌসুমে তাকে আর কোনো ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া হবে না। এতে মৌসুমের সামনের ম্যাচগুলো তাকে সাইডলাইনে বসেই কাটাতে হতে পারে।