১৮৮ রান, খুব বড় লক্ষ্য নয়। ভারত নিজেও এর আগে এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য দিয়ে মাত্র তিনবার জিতেছে। কিন্তু এই তিন জয়ের দুটিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। না, তাও নয়। বিরাট কোহলিকে নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছিল বেঙ্গালুরুর চষা জমি হয়ে পড়া উইকেট। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানে অলআউট করে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল ভারত। ৭৫ রানের জয়ে ১-১ সমতা ফেরাল সিরিজে।
৪১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে অশ্বিন প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। তবে অন্যপ্রান্তে তাঁর পুরোনো জুটি রবীন্দ্র জাদেজা নয়; দারুণ সঙ্গ দিলেন দুই পেসার। উমেশ যাদব নিয়েছেন দুই উইকেট। ইশান্ত শর্মা একটি।
৪ উইকেটে ১০১ তোলা অস্ট্রেলিয়া শক্ত হাতে হাল ধরে রেখেছিল। ইনিংসের সেটি ২৬তম ওভার। পরের ১০ ওভারে রীতিমতো ভূমিকম্প। ১১ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া!
শুরুটা কিন্তু দৃঢ়তা নিয়েই করেছিল সফরকারীরা। কিন্তু শুরুর জুটিগুলো ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। ২২ রান তুলতে ফিরে যান ম্যাট রেনশ। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, শন ও মিচেল মার্শরা ফিরেছেন নিয়মিত বিরতিতেই। বড় হয়নি একটি জুটিও।
অশ্বিনকে নিয়ে শঙ্কা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে দুই পেসারের অবদানের কথা ভুললে চলবে না। যাদবের দারুণ বোলিংয়ে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন স্মিথ ও শন মার্শ। ইশান্ত ফিরিয়েছেন রেনশকে। অশ্বিন নিয়েছেন ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ ও ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, লায়ন ও হ্যান্ডসকম্বকে। জাদেজা নিয়েছেন ও’কিফের উইকেটটি।
এর আগে, চতুর্থ দিন সকালে ২৭৬ রানে শেষ হয় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ৪ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত স্কোরে আরও ২০ রান যোগ করার পর ধসের মুখে পড়ে। পরের ২০ রানের মধ্যে হারায় ৫ উইকেট। ৪ উইকেটে ২৩৮ থেকে স্কোর হয়ে যায় ৯ উইকেটে ২৫৮। তবু ভারত শেষ দুই উইকেটে ২৮ রান যোগ করেছে বলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যটা ১৮৮তে গিয়ে পৌঁছায়। বেঙ্গালুরুর এই উইকেটে যেটি আসলে পাহাড়-সমান।
হ্যাজলউড আগুন ঝরিয়েছেন ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে। ৬৭ রানে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। স্টার্ক পেয়েছেন ২ উইকেট।
তবে বোলারদের দাপটের এই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় কেএল রাহুল। সূত্র: স্টারস্পোর্টস।