স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর: গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ বলেছেন, দেখা মাত্র গুলির এমন কোন নির্দেশ দেই নি। রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় জিসিসির মেয়র আহত হননি। তিনি আহতের ভান করছেন। গনতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ন আন্দোলনে পুলিশের বাঁধা নেই।
সোমবার(১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নিজ কার্যালয়ে গ্রাম বাংলা নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, কোন পত্রিকায় উঠেছে আমি দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছি তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমি কোন স্ট্যাটমেন্টও দেই নাই। কোন কনস্টেবল বা দারোগা এক কথা বলেছেন তার জন্য আমি দায়ী নই।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কোন মিছিল হয়নি। মিডিয়ায় মিছিলে পুলিশের গুলির যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সত্য নয়। বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ চেষ্টা করেছে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও আক্রমনের কারণে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। বিএনপির এক গ্রুপের আক্রমনে অন্য গ্রুপ আহত হয়েছে পুলিশের আক্রমনে কেউ আহত হয়নি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে তা সত্য নয় দাবি করে পুলিশ সুপার বলেছেন, মেয়র আহত হননি। সোমবার বিকেলেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বাসায় আছেন ও সুস্থ রয়েছেন। আহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মেয়র আহত হওয়ার ভান করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, বিএনপি নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য রাজনীতির মাঠে নিষ্ক্রিয় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরশেনের মেয়র অধ্যাপক মান্নান আহতের নাটক করে থাকতে পারেন।
মাদক নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে হারুনর রশিদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলবে। মাদক নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আয়োজিত রোড শো’র পর সারা জেলায় মাদক কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলছে। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা গুপ্টি মেরে রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বহুল আলোচিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) থেকে আগত গাজীপুরের নবাগত পুলিশ মোঃ হারুনর রশিদ যোগদানের পর কিছু গনমাধ্যমে “দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার” মর্মে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরের পর বিরোধী দলের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশ সুপার যোগদানের পর রোববারই প্রথম বড় ধরণের সমাবেশ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলি টিয়ার সেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশত বিএনপির নেতা-কর্মী ও ১৭জন পুলিশ আহত হয়। ওই ঘটনায় মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান আহত হয়েছেন বলে দাবি করে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। রোববার রাতে মেয়র সহ ৪’শ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে জয়দেবপুর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গ্রেফতার এড়াতে বর্তমানে গাজীপুরে বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী পলাতক রয়েছেন।