সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা হবে ৮ মার্চ। আজ রোববার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা রায়ের এই তারিখ ধার্য করেন।
সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহউদ্দিন সিরাজ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ। বিশেষ এ দিনে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আমরা আসামির বিরুদ্ধে সব প্রমাণ উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, সর্বোচ্চ সাজা হবে অপরাধীর।’
যুক্তিতর্ক চলাকালে মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলম আদালতে হাজির ছিলেন। যুক্তিতর্কে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলিসহ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে বলেন, এ রায় বাংলায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ১ মার্চ সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণের পর যুক্তিতর্কের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল।
মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আসামির সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আদালত স্থানান্তরের আদেশ দেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি (পাস) কোর্সের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বদরুলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটে নিজ বাড়িতে ফেরেন খাদিজা বেগম।