পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে ভারতের এখানকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, সেটা থেকে তাঁরা বিচ্যুত হবেন না।’
পানিসম্পদমন্ত্রী আজ রোববার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তিতে অগ্রগতি হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না।
তিস্তা চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা কম বলে বাংলাদেশ কি এখন গঙ্গা ব্যারাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে? এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুটো বিষয়ই গুরুত্ব দিচ্ছি। দুটোই আমাদের প্রয়োজন এবং সেভাবেই চেষ্টা চলেছ। এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমরা কাজ করি, তখন কিছুটা বাস্তববাদী হতে হয়। কাজেই এসব সমস্যা মাথায় রেখেই এগোতে হয়।’
গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণে ভারতের সহযোগিতা প্রসঙ্গে পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা ব্যারাজ যে এলাকায় হবে, তার এক-চতুর্থাংশ ভারতে পড়েছে। এই প্রকল্পের ব্যাপারে ভারতের কিছু প্রশ্ন ছিল। বিশেষ করে পানির উল্টো প্রবাহ, পলি জমে ওঠার ব্যাপারে তাদের প্রশ্ন ছিল। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। কাজেই দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। আশা করি, এই কমিটি তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদন দেবে। ফারাক্কা ব্যারাজের ব্যাপারে ভারতের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলেছে। বিশেষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সম্প্রতি জোরালোভাবে ফারাক্কা ব্যারাজের নেতিবাচক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তাই গঙ্গা ব্যারাজ তৈরি হলে আমাদের দেশে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, তা আমরা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।