অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। এরমধ্যে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক শূন্যতায় ওইসব বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকা-ও ঝিমিয়ে পরেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লোকজনও শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোন সুবিধা করতে পারছেন না।
স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও সহকারী শিক্ষকের দেড় শতাধিক পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সঙ্কটের কারণে সঠিকভাবে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান হচ্ছে না। অনেক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের স্থলে ৩ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করাতে হচ্ছে। সরকারের ন্যাশনাল সার্ভিসের কিছু কর্মী বিদ্যালয়ে পাঠদানে ঢুকলেও তারা নিয়মিত সরকারী ভাতা না পাওয়ায় তাদের সেবার মান সন্তোষজনক নয়। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে শিশুদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজকর্মও ঝিমিয়ে পরেছে।
এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষকের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েছি। শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে আমার উপজেলার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।