আস্থা ফেরানো নতুন ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

55737_lead

 

 

 

 

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, মানুষের আস্থা অর্জন করা নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জের কাজ। কারণ মানুষের মধ্যে এখন প্রশ্ন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুল হুদা বলেন, কমিশনের কথাবার্তায়, কাজেকর্মে জনমনে এই আস্থা তৈরি হতে হবে যে এই কমিশন দলবাজি করবে না। কোনো ধরনের সংশয় যেন তৈরি না হয়। এসময় নতুন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি। গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব। নৈতিক বলপ্রয়োগ ছাড়া শুধু প্রশাসনিক দক্ষতা দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সংবিধান পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। এটি মাথায় রেখে এখন থেকেই ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্য কাজ করতে হবে। আইনের প্রচুর সংস্কার করতে হবে। শুধু নির্বাচন কমিশন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়, নির্বাচনকালীন সরকারের মনোভাবও গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নতুন কমিশনের অংশীজনদের আস্থায় নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমিত পর্যায়ে ই-ভোটিং চালু করার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার নতুন কমিশনের সামনে ১৯টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, গত কমিশনের ব্যর্থতা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে খাদে ফেলে দিয়েছে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জন-অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নতুন কমিশন বিতর্কমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *