বিদ্যুৎ জামওয়াল ইন্ডাস্ট্রির বাইরের। তবু জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। ‘ফোর্স’ সুপারহিট। সামনেই তাঁর দু’-দু’টো রিলিজ, ‘কমান্ডো ২’ আর ‘বাদশাহ’। শুধু বলিউড না, উত্তর ভারতের ছেলে দক্ষিণেও সমান জনপ্রিয়। তামিল ছবি ‘বিল্লা ২’ বক্স অফিস হিট। বললেন…
ফোর্ট উইলিয়ামে ছোটবেলা
বাবা ছিলেন মিলিটারিতে। ছোটবেলা থেকে ঘুরেছি অনেক জায়গায়। কানপুরে আমার জন্মের পর বাবা বদলি হয়ে যান ফোর্ট উইলিয়মে। বছরচারেক ওখানে ছিলাম। ক্যাম্পাসে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল। ওদের কাছে বাংলা শিখেছিলাম। ছোটবেলায় শেখা ভাষা তো, তাই এখনও কাজ চালানোর মতো বলতে পারি।
উত্তরের ছেলে দক্ষিণে
বন্ধুরা মজা করে বলে, ‘‘তুই নর্থ ইন্ডিয়া থেকে এসে সাউথেও জমিয়ে নিলি।’’ প্রথম ছবি ‘শক্তি’, তেলুগু। বক্স অফিসে চলেনি। ভাবলাম, গেল আমার ফিল্মের কেরিয়ার! মার্শাল আর্টে ফিরে যাই। হিন্দি ছবি ‘ফোর্স’-এর অডিশনে গেলাম। হিট হল। তামিল ‘বিল্লা ২’-ও হিট। বেঁচে গেল আমার সিনেমার কেরিয়ার।
স্টারের ছেলেমেয়েদের সুবিধা
এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে বুঝেছি, এখানে বাইরের লোকেদের জায়গা নেই। স্টারের ছেলে বা মেয়ে হলে কথাই নেই। ট্যালেন্ট থাক, না থাক, ওদের জন্য জায়গা তৈরি। পরপর চারটে ফ্লপ হলেও কেউ না কেউ ঠিক ফিফ্থ ছবিটা অফার করবে। আমার লক্ষ্য ছিল নিজের ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করা। মনে হয়, সেটা হয়েছে।
‘মোস্ট ডিসায়ারেব্ল’-এর ট্যাগ
টাইপকাস্ট হতে কোনও অসুবিধা নেই। তা বলে ‘মোস্ট ডিসায়ারেব্ল’-এর ট্যাগে আমার কিছু এসে যায় না। আমি জিমে বেশি সময়ও দিই না। অনেকে শুনলে হয়তো চমকে যাবে, আমি ভাতও খাই। খাবারে নুনও খাই। তবে হ্যাঁ, প্রতিদিন এক্সারসাইজ করি। আর মার্শাল আর্টের ট্রেনিং।
মেয়েদের সেল্ফ ডিফেন্সের ক্লাস
অনেকদিন ধরে মাথায় ছিল। আমার মতে সেল্ফ ডিফেন্সের ট্রেনিং সবার নিয়ে নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে মেয়েদের তো বটেই। মুম্বইতে তাই মেয়েদের জন্য সেল্ফ ডিফেন্সের একটা ক্লাস শুরু করেছি। অনেকেই আসছে সেখানে। সমাজের জন্য এটা করতে পারলে তো ভালই।