ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলানিউজ২৪.কম
ঢাকা: বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে সভা করতে না দেওয়ায় রোববার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় ও সারাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।
সারাদেশে খুন, গুম ও অপহরণের প্রতিবাদে নিহত ও অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সভা করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে সভা করতে পারেনি দলটি।
পুলিশ জানায়, প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোনো ধরনের সভা করতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন করতে প্রশাসনের কোনো অনুমতি বিএনপি নেয়নি। তাই সম্মেলন করতে দেওয়া হয়নি।
পরে সন্ধ্যায় গুম-অপহরণের শিকার হওয়াদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী নোমান ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে তারা বের না হলে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে গুম অপহরণ খুনের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্য ও ক্ষমতাবানদের ঘনিষ্ঠজনরা। আজ গদফাদারদের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
ফেনী ও নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে সরকারের কুৎসিত চেহারা পুরোপুরি ফুটে উঠেছে।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিরোধীমতালম্বীদের ওপর বর্বর নৃশংস স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করছে।
তিনি এসময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানান।