অনেক দিন পর অবরোধ বা ধর্মঘট বা পরিবহন শ্রমিকদের অবসরে দেশ অচল হল। এই নৈরাজ্যকর ও অনাকাংখিত কর্মসূচি নিয়ে বিব্রত জাতি। জাতির পরিচালক হিসেবে সরকারও বিব্রত। তবে ধর্মঘটী সংগঠনের শীর্ষ নেতা মন্ত্রী পরিষদের দুই জন সদস্য হওয়ায় জাতি চিন্তিত। কথা উঠেছে মন্ত্রীর সরকারী বাসভবন থেকেই এই লাগাতার নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ধর্মঘটের জন্ম। মিডিয়ায় মন্ত্রীর বক্তব্য প্রমান করে, মন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে এই কর্মসূচিতে। মন্ত্রীদ্বয় যদি বে-আইনী কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে থাকেন তবে তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। আর এই কর্মসুচির যে দাবী রয়েছে, তা আদালত অবমাননাকরও বটে। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ এখন সময়ের দাবী।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ধর্মঘটীরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আদালতকে প্রভাবিতই নয় বাধ্য করারও চেষ্টা করছেন। এই অসম ও অন্যায় দাবী পূরণের জন্য জনগন ও রাষ্ট্রকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমরা জানি, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া কোন ব্যাক্তি সরকারী লাভজনক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারেন না। অথচ মন্ত্রী পরিষদের দুই জন সদস্য এমন লাভজনক সংগঠনে যুক্ত, যে সংগঠন দেশকে অচল করার ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া এই লাভজনক খাতটি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নেতৃত্বেরও পরিবর্তন ঘটায়। পরিবহনখাত সরকারী লাভজনক যে কোন খাতের মোকাবেলা করতে ও সরকারকে বিপদে ফেলতে সক্ষমও বটে।
সুতরাং জনগনকে জিম্মি করে সরকার ও আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ধর্মঘটী সংগঠন থেকে অথবা মন্ত্রীত্ব থেকে মন্ত্রী পরিষদের দুইজন সদস্যকে পদত্যাগ করা উচিত। যদি সংগঠন তাদের কথা না শুনতেন, তবে এই ধরণের কর্মসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই মন্ত্রী সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতেন। যেহেতু তারা পদত্যাগ করেননি সেহেতু তাদের উচিত সরকার বিরোধী ও আদালত অবমাননাকর কাজ করার জন্য মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা। তা না হলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান ও প্রচলিত আইন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর এই রকম ক্ষতি হতে থাকলে রাষ্ট্রের চেইন-অব-কামান্ড হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই অচিরেই বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম