দেখতে দেখতে সংগীত জগতে প্রায় দেড় যুগ পার করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। চলচ্চিত্র এবং অ্যালবাম মিলিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। এখন প্রায় প্রতিদিনই তার দিন কাটে গান ও জিঙ্গেল রেকর্ডিং, স্টেজ শো, শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে। তবে এই পর্যায়ে এসে এখনও নিজেকে শিক্ষার্থী মনে করেন তিনি। কনার ভাষায়, আমি প্রতিনিয়ত সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। শুধু সিনিয়র নয়, ভালো কিছু কিন্তু জুনিয়রদের কাছ থেকেও শেখা যায়। ছোটকাল থেকেই আমার শেখার আগ্রহটা প্রবল। আর গানের ক্ষেত্রেতো আমি বলবো সারা জীবনেও শেখার শেষ নেই। তাই আমি সারা জীবন শিক্ষার্থী হয়েই থাকতে চাই। তবে শিক্ষার্থী হয়ে থাকতে চাইলেও কনা এরই মধ্যে একটি শক্ত ভীত মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি করে নিয়েছেন। অনেক চরাই উতরাই পার করে চলচ্চিত্র, অ্যালবাম ও স্টেজসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল ও সরব তিনি। বিশেষ করে বছর জুড়েই তার ব্যস্ততা থাকে দেশ-বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে। এদিকে গত বছর কনার দুটি গান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। এর মধ্যে একটি ছিলো ‘রেশমী চুড়ি’। এ গানটি ইউটিউবে এরই মধ্যে প্রায় ৮৩ লাখ দর্শক উপভোগ করেছেন। অন্যদিকে কনার আরেকটি সিনেমার গান এক কোটি ভিউ-এর মাইলফলক থেকে সামান্যই দূরে রয়েছে। ‘বসগিরি’ ছবির এ গানের নাম ‘দিল দিল দিল’। এ গানে তার সহশিল্পী ছিলেন ইমরান। কবির বকুলের কথায় গানটির সুর ও সংগীাতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন। এখন পর্যন্ত গানটি ইউটিউবে উপভোগ করেছেন ৯৫ লাখেরও বেশি দর্শক। এ বিষয়ে কনা বলেন, শ্রোতাদের সাড়া পেতে কার না ভালো লাগে। এ দুটি গান প্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত সাড়া পাচ্ছি। দুটি গান দুই রকমের। অনেক মজার ও আনন্দের। শ্রোতাদের ভালোবাসার কারণেই এ দুটি গানের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছি। তাই তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। এদিকে সম্প্রতি ‘সেলফি’ শীর্ষক একটি গানের ভিডিওর কাজ শেষ করেছেন কনা। এ গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন আশিকুর রহমান। কনার বাস্তবের প্রতিদিনের ব্যস্ততা এবং বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ ভিডিওটিতে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি প্রকাশের কথা রয়েছে। সিনেমার গানের কি খবর? কনা বলেন, সিনেমার গানই বেশি করছি। আর প্লেব্যাক করতে আমার খুব ভালোও লাগে। একটা চ্যালেঞ্জ থাকে, যেহেতু গল্প ও চরিত্র অনুযায়ী গান গাইতে হয়। গত এক মাসে কয়েকটি সিনেমায় গেয়েছি। সামনেও কয়েকটি ছবিতে গাওয়ার কথা রয়েছে। অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন মনে হচ্ছে? কনা বলেন, অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। এটা খুব ভালো সংকেত। গত বছর থেকে অনেক কাজ হচ্ছে। শিল্পী ও সংগীত সংশ্লিষ্টরা ব্যস্ত নতুন গানে। অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করছে শিল্পীদের অ্যালবামে। আমার মনে হয় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটালি আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। এখন শিল্পীরা নিজেরাও গান প্রকাশ করতে পারছে। ইউটিউব থেকে একটা আয় আসছে। আস্তে আস্তে হয়তো আরও নতুন কিছু মাধ্যমও যোগ হবে। আমি আশাবাদী ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। গত বছরতো বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তা হয়নি। এবার তাহলে বিয়ের বাদ্য কবে বাজছে? কনা হেসে বলেন, বিয়ে পবিত্র ও শুভ একটি বিষয়। তাই তাড়াহুড়ো করতে চাইনি। এ বছরই হয়তো বিয়ের বাদ্য বাজবে। তারপরও এ বিষয়গুলো সৃষ্টিকর্তার হাতেই রয়েছে। দেখা যাক কি হয়।